পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি। অথচ এমন অভিযোগ তদন্তের জন্য ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল’কে সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। জানা যায়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানওয়ার সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করে একই বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রী। ২৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পৌঁছানের ৪ দিনের মাথায় সানওয়ার সিরাজকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল’ এর বিধির ১০(৩) এর ধারায় বলা হয়েছে- যে কোন অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তা সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। অপরদিকে একই ধারায় বলা হয়েছে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে কোন অভিযোগ আসলে তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগকারী রেকর্ডেড (মৌখিক/লিখিত) জবাববন্দি দিবে।
জানা যায়, গত বছরের এ অভিযোগের দায়েরের মেয়েদ ১৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত তদন্ত কমিটি অভিযোগকারী ছাত্রীর রেকর্ডেড স্বীকারোক্তি নিতে পারেনি। এ বিষয়ে অভিযোগকারী ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একবার সেলে গিয়ে সময় নিয়ে এসেছিলাম। তখন অসুস্থ্য থাকায় আমি রেকর্ডেড স্বীকারোক্তি দিইনি।’ এর পরে কেন আর স্বীকারোক্তি দেননি এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমাকে জিম্মি করে আমার স্বামী অভিযোগটি দায়ের করিয়েছিল। প্রমাণ স্বরূপ সে কিছু বানানো স্ক্রিনশর্ট আর অডিও জমা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এগুলো আবার আমার স্বামী সানওয়ার সিরাজকে সরবরাহ করে। আমার স্বামী তার চাকুরি ফিরে পাওয়ার জন্য সানওয়ার সিরাজের সাথে হাত মিলিয়েছে।’ তবে অভিযোগে তদন্তের বিষয়ে অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, ‘আমি যেহেতু স্বীকারোক্তি দেয়নি, তাই হয়তো মামলাটি সমাধান হয়ে গেছে।’ ওই ছাত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায় সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে বলেও জানান। তবে চাকরিচ্যুত যে শিক্ষককে তিনি স্বামী হিসেবে দাবি করেছেন, ওই শিক্ষক বিশ^বিদ্যালয়ের এক গ্রæপে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার কোন বিয়ে হয়নি। বরং তিনি ছাত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, সে তার কাছে কেন এসেছিলো? লিভ টুগেদার করতে? বিয়ে করতে? নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে? এছাড়া তিনি পোস্টে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সানওয়ার সিরাজ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি চক্রান্তমূলক অভিযোগ দিয়ে আমাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগটাকে হাতিয়ার বানিয়ে কেউ কেউ বিশেষ সুবিধা নিতে চাচ্ছেন। এজন্য এক বছর সময় পার হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি।’
এসব বিষয়ে জাবির যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক রাশেদা আকতার সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা তদন্ত কাজ করতে পারছি না। তদন্ত কাজের আরো কয়েকটি ধাপ বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করতে পারলেই আমরা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।’ হাইকোর্টের বেধে দেওয়া সময়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট ৬০ দিনের কথা বলেছে ঠিকই তবে প্রয়োজন হলে আরো কিছুদিন বাড়ানো যায়।’ অভিযোগকারীর স্বীকারোক্তির বিষয়ে রাশেদা আকতার বলেন, ‘ওই মেয়ে একদিন সেলে দেখা করে সময় নিয়েছিল পরে স্বীকারোক্তি দিবে বলে। কিন্তু পরে সে আর দেখা করেনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।