Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসার চালাতে ধার করেছে ৪৬% ভারতীয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

গত মার্চে শুরু হওয়া লকডাউন ও রেকর্ড কভিড-১৯ সংক্রমণের জেরে অর্থনীতির বেহাল ভারতের। রুটি-রুজির অভাবে সংসার চালাতে ঋণের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে অনেক পরিবারকে। সম্প্রতি হোম ক্রেডিট ইন্ডিয়ার এক সমীক্ষায় বলা হয়, করোনা সংকটের জেরে ভারতে ৪৬ শতাংশ মানুষ অর্থ ধার করে সংসার চালিয়েছেন। খবর পিটিআই ও ইকোনমিক টাইমস। হোম ক্রেডিট ইন্ডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে পরিবারের ন্য‚নতম প্রয়োজন মেটানোর জন্যও অন্যের কাছে হাত পাততে হয়েছে। দেশের সাতটি শহরকে ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, ধার করার নিরিখে সবার আগে রয়েছে মুম্বাই ও ভোপাল। তার পরে রয়েছে যথাক্রমে পাটনা ও দিল্লি। জয়পুর ও হায়দরাবাদ রয়েছে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে। সবার শেষে রয়েছে কলকাতা। এ রাজ্যে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ ধার করে সংসার চালিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ থেকে শুরু হয় মে মাস নাগাদ লকডাউন কার্যকর ছিল। প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তবে জুনে লকডাউন প্রত্যাহার শুরু হয়। কিন্তু ততদিনে বহু ভারতীয় চাকরি হারিয়েছে অথবা চাকরি থাকলেও বেতন কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তসহ মধ্যবিত্তের হাত প্রায় খালি। কিন্তু একই সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। অগত্যা ধার করা ছাড়া তাদের আর কোনো রাস্তা নেই। এ সমীক্ষায় ২৭ শতাংশ ভারতীয় এমন কথাও বলেছেন, অর্থের অভাবে ইএমআই দিতে পারছিলেন না তারা। আর সেই কিস্তি মেটাতে নতুন করে ঋণ করতে হয়েছে। ১৪ শতাংশের দাবি, তারা চাকরি খুইয়ে বসে আছেন। তাই সংসার চালাতে ধার করা ছাড়া কোনো পথ খোলা ছিল না। সমীক্ষায় ১৩ শতাংশ ভারতীয় অবশ্য জানিয়েছেন, তারা এখনই এসব ব্যাপারে চিন্তাই করছেন না। আগে পুরনো ধার শোধ মেটাবেন। তারপর পরে মেটান হবে পর নেয়া ঋণের অর্থ। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যারা এভাবে ঋণ করে সংসার চালাচ্ছিলেন, তাদের প্রতি চারজনে একজন বন্ধু বা পরিচিতদের থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। সমীক্ষায় লক্ষ করা গেছে, এ ব্যাপারে নারীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন পুরুষরাই। অন্যদিকে নারীরা ধার করা বা ঋণ নেয়া থেকে বিরত থাকতে চেয়েছেন এবং যদি নিতে হয়েছে তাহলে তারা মূলত নির্ভর করেছেন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর। দেখা গেছে তারা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এবং তা পরিশোধ করার ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা নেই প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের। তাদের পরিকল্পনা, নতুন চাকরি অথবা হাতে যথেষ্ট পরিমাণ নগদ এলে তখন এই ঋণ শোধ করবেন। গত বছর আগস্টে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল ভারতে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, ৩৩ শতাংশ ভারতীয়ই ধার করেছেন খুচরা খরচ মেটাতে। গাড়ি, বাড়ির মতো কোনো বড় সম্পত্তি কেনার জন্য নয়। ধার করা হয়েছে সাধারণত ল্যাপটপ, বড় মাপের টিভি কিংবা অত্যাধুনিক স্মার্টফোন কেনার জন্য। পিটিআই, ইকোনমিক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৪৬%-ভারতীয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ