পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেমন্তের এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায়ের সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের প্রভাব বিলীন হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি নিচে নামল। এতে দিনের প্রখর রোদের সাথে তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪ ডিগ্রি এবং স্বাভাবিকের চেয়ে দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। অপরদিকে এসময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা। কিন্তু তা ৩১ ডিগ্রির ওপরে। কার্তিকের শেষে এসে গত বুধবার রাতে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে যায় দক্ষিণাঞ্চলের সব জনপদসহ মেঘনা অববাহিকার নদ-নদী। এ আগাম কুয়াশা ফসলের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনতে পারে। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের প্রথম প্রহরে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীসহ দেশের নৌ যোগাযোগ অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী নৌযানগুলো বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছে বৃহস্পতিবার সকালে। দক্ষিণাঞ্চলে অন্যান্য গন্তব্যের নৌযানগুলোও প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রীদের পৌছে দেয়।
অপরদিকে গতমাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৪.৯% বেশি বৃষ্টি হলেও বরিশালে তা ছিল ১৩৯% বেশি। অক্টোবরে বরিশালে স্বাভাবিক ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হবার কথা থাকলেও ৪২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল সয়লাব হয়ে যায়। ফসলের ক্ষতিও ছিল ব্যাপক। মূলত গত দু’মাস ধরেই বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে বরিশালে ৩২৫ মিলিমিটারের স্থলে ৪৩৩ মিলি বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। অপরদিকে ভাদ্রের বড় অমাবশ্যায় ভর করে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে বরিশাল অঞ্চলে আগস্টে স্বাভাবিক ৪৩৩ মিলি স্থলে ৫১২ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা ছিল স্বাভাবিকের ১৮% বেশি।
চলতি রবি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৫২ হাজারর হেক্টর জমিতে ১১ লাখ টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষকদের সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি থাকলেও দু’দফার অতি বর্ষণের সাথে জোয়ারের প্লাবনে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। অক্টোবরের প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারে আগাম শীতকীলন সবজির পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে।
সে সব দুর্যোগের পর হেমন্তে এসে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক ওঠানামার সাথে আগাম কুয়াশা আমনের ফলন বাধাগ্রস্থ করতে পারে। পাশাপাশি শীতকালীন শাক-সবজির গুনগতমানও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষিবীদগণ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাবাসে দক্ষিণাঞ্চলে আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই জানিয়ে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাসের পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।