মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশ সম্পর্কে একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য করছেন বিজেপি নেতারা। বুধবার বিহারে ক্ষমতায় এলে ‘বাংলাদেশি’ অনুপ্রবেশকারীদের ভারত থেকে ছুঁড়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর আগে বিজেপির এমপি সুব্রামনিয়াম স্বামী বাংলাদেশে সৈন্য পাঠানোর হুমকি দিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন।
ভারতের বিহার রাজ্যে চলমান বিধানসভার নির্বাচনেও অন্যতম প্রধান ইস্যু হল সেই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’। নির্বাচনী প্রচারণায় এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই ভোট চাইছেন বিজেপি তথা এনডিএ জোটের নেতারা। বুধবার কাটিয়ারে বিজেপির তিনবারের এমএলএ তার কিশোর প্রসাদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত হয়ে যোগী বলেন, ‘আমি শুনেছি কাটিয়ার ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় ‘বাংলা অনুপ্রবেশকারী’ সমস্যা প্রচুর। মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ। অনুপ্রবেশকারী সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি নীতি গ্রহণ করেছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। কিন্তু কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যদি দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে তবে তাদের দেশ থেকে ছুঁড়ে ফেলা হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করবে তাদের কোন মতেই রেয়াত করা হবে না।’
যোগীর ওই মন্তব্যের পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক দল জেডিইউ প্রধান ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। যোগীর বক্তব্যকে ‘ফালতু কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নীতিশ। যোগীর সভার পরই কিষাণগঞ্জে এক নির্বাচনী প্রচারণা থেকে নীতিশ কুমার বলেন ‘কিছু মানুষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। কে কাকে দেশ ছাড়া করবে? ভারতে বসবাসকারী কোন নাগরিককেই ছুঁড়ে ফেলার কোন ক্ষমতা কারো নেই। আমরা সবসময়ই সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছি যাতে প্রত্যেকে একসাথে বসবাস করতে পারে।’
এদিকে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও অনুপ্রবেশ ও সিএএ ইস্যু যে প্রভাব ফেলতে চলেছে তা পরিস্কার করে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তার অভিমত বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার- উভয়েরই লক্ষ্য রাজ্যে উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান করা। আর তাই নির্বাচনের আগে নতুন নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন করাটাই তাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
এর আগে গত মঙ্গলবার কুমিল্লার সহিংস ঘটনার পর ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির এমপি সুব্রামনিয়াম স্বামী টুইট করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে কঠোরভাবে বলা উচিত, ক্র্যাকডাউন চালান মানে দমন করুন কিংবা ভারত সৈন্য পাঠাতে পারে এবং আপনার পক্ষে ক্র্যাকডাউন চালাতে পারে।’ আগেও তিনি বাংলাদেশের অংশবিশেষ ভারতের সঙ্গে একীভূত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, হিন্দু সভ্যতাই বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন সভ্যতা। সূত্র: টিওআই, এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।