পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা আবার বেড়ে গেছে। প্রতিদিন রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে লাশ হচ্ছে মানুষ। শুধু অক্টোবর মাসে ৩১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত এবং ৬৯৪ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৮ জন নারী ও ৪১ জন শিশু। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে ১১৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৩২ জন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ৯৭ জন পথচারী নিহত হয়েছে। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪২ জন। এছাড়া এই সময়ে ৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। এ সময় ৬ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে সাগরে মাছ ধরার ১টি নৌকা ডুবে ২২ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। আর ১৩টি রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ১৭ জনের।
গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে চিকিৎসক, পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, র্যাব সদস্য, সাবেক সেনা সদস্য, স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রবাসী শ্রমিক, ইলেক্ট্রিক ও মোটর মেকানিক, প্রতিবন্ধী, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছে।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ৮৫টি দুর্ঘটনায় এ বিভাগে নিহত হয়েছে ৯৯ জন। আর সবচেয়ে কম রংপুর বিভাগে। এখানে ১৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২১ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ২৭৩টি দুর্ঘটনায় ৩০৪ জন নিহত হয়। এই হিসাবে অক্টোবর মাসে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের তুলনায় জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত রয়েছে। জাতীয় মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং মোটরসাইকেল ও স্বল্পগতির যানবাহনের অবাধ চলাচল এ জন্য দায়ী বলে মনে করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এছাড়া দেশে অসংখ্য রেল ক্রসিং অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। মাঝে মধ্যেই ট্রেনের সঙ্গে সড়ক পরিবহনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব রেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ চালকদের সতর্কভাবে যানবাহন চালানোর পরামর্শ দেয় সংস্থাটি। এ ছাড়াও সড়ক-মহাসড়ক ঘেষে বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও দুর্ঘটনারোধে নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং গণপরিবহন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে পরামর্শ দেয় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।