Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একত্রে কাজ করার আহবান নৌ প্রতিমন্ত্রীর

সমুদ্র ও স্থলবন্দর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশের সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর সমূহের দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক দ্রব্যাদি নিরাপদ পরিবহন, হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে এক ছাতার নিচে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের সকল সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহের দাহ্য ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি রক্ষণাবেক্ষণে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক প্রতিমন্ত্রী এ আহবান জানান।
নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক ছাতার নিচে এসে সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে অধিক সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি একটি ছাতার নিচে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক নিলামের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬৩ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক দ্রব্যাদি রয়েছে। এছাড়া ৫৩৫ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডে সংরক্ষিত আছে। মোংলা বন্দরে এবছরের ২০ সেপ্টেম্বর ৭ দশমিক ২ কেজি বিপজ্জনক পণ্য খালাস করা হয়েছে। এই বন্দরে কোনো বিপজ্জনক পণ্য সংরক্ষিত নেই। বেনাপোল স্থলবন্দরে ৪২৬৯ দশমিক ৩৯ মেট্রিক টন এবং বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৭ দশমিক ৬ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, বিপজ্জনক মালামাল হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিদ্যমান দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য সংরক্ষণ শেড অর্থাৎ ‘পি-শেডটি’ সংস্কার, সেখানে ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা, উক্ত শেডে প্রবেশ/বাহির, বিপজ্জনক পণ্য সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ যুগোপযোগী একটি নতুন শেড নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বৈঠকে বন্দরগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণে ‘মহড়ার’ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য সংরক্ষণের জন্য পৃথক শেড নির্মাণে মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, পায়রা বন্দর, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রাম, মোংলা, বেনাপোল ও ঢাকা আইসিডির কাস্টমস কমিশনারগণ সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্থলবন্দর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ