নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : রীতিমতো অবিশ্বাস্য! মেয়েদের ৪০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণ পদকের নিষ্পত্তি হলো কিনা পড়িমরি এক ‘ডাইভে’! যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্প্রিন্টের রানি’ অ্যালিসন ফেলিক্সকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতে নিয়েছেন শনে মিলার। একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও সমানে-সমান ছিলেন দুজন। এক মিটার দূরে থাকার সময়ও মনে হচ্ছিল, ফেলিক্সই জিততে যাচ্ছেন। রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির আশায়ই ছিলেন সবাই। কিন্তু যা হলো, সেটি হয়তো দূরতম কল্পনায়ও ছিল না। দর্শক এবং ফেলিক্সকে, হতভম্ব করে একেবারে শেষ মুহূর্তে লাফ দিলেন মিলার। এবং মাথা সামনের দিকে রেখে দেওয়া ওই লাফে ফিনিশিং লাইনও ছুঁয়ে ফেললেন সবার আগে! ব্যবধান? সেকেন্ডের ৭০০ ভাগের এক ভাগ! নয়টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অলিম্পিকে চারটি স্বর্ণজয়ী ফেলিক্সকে তাই সন্তুষ্ট থাকতে হলো রুপা নিয়ে। ব্রোঞ্জ জিতেছেন জ্যামাইকার শেরিকা জ্যাকসন।
দৌড়ের শুরু থেকেই অবশ্য এগিয়ে ছিলেন শনে মিলার। কিন্তু ২০০ মিটার পেরোনোর পর থেকেই গতি বাড়িয়ে দেন ফেলিক্স। তারপরও অবশ্য মিলারের পেছনেই ছিলেন। নাটক শুরু হলো একেবারে শেষ ৫০-৬০ মিটারে এসে। হঠাৎই গতি হারাতে শুরু করেন মিলার, এ সুযোগে তাঁকে ধরে ফেলেন ফেলিক্স। শেষ ১০ মিটারে তো মনে হচ্ছিল ফেলিক্সই এগিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবধানটা যদিও ছিল খুব কম। তবে শেষ পর্যন্ত পেরেছেন অসাধ্য সাধন করতে। বড় কোনো আসরে এটাই তার প্রথম স্বর্ণ পদক, প্রথম স্বর্ণ পদক বাহামারও। মিলার জানান, একটাই ভাবনা তার মনে খেলছিল। তা হলো, যেভাবেই হোক স্বর্ণ জিততে হবে। ফিনিশিং লাইনে এসে জয়ের তাড়নাতেই ডাইভটা চলে এসেছিল। শরীরে ব্যথা নিয়েই এর পর সোনা জয়ের উচ্ছ¡াসে মেতে উঠেন মিলার, ‘এই মুহূর্তটার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। আমি অনেক খুশি, অনেক কৃতজ্ঞ।’
বেইজিংয়ে গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অ্যালিসন ফেলিক্সের সামান্য পেছনে থেকে দ্বিতীয় হয়েছিলেন শনে মিলার। ঘটনাটা থেকে তবে ভালোই শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের আগে অভিষেক হলেও ইনজুরির কারণে নাম প্রত্যাহার করে নিতে হয় সেবার। রিও গেমসের রোমাঞ্চকর এই লড়াইয়ে ২২ বছর বয়সী মিলার সময় নেন ৪৯.৪৪ সেকেন্ড। চারটি অলিম্পিক স্বর্ণ পদকের মালিক ফেলিক্সের সময় লাগে ৪৯.৫১ সেকেন্ড। হতাশায় ভেঙে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট। যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ট্রায়ালে সেরা তিনের মধ্যে না থাকতে পারায় লন্ডনে জেতা ২০০ মিটার দৌড়ের খেতাব ধরে রাখার সুযোগ রিওতে পাচ্ছেন না ফেলিক্স। ৪০০ মিটারে প্রথম স্বর্ণ একটুর জন্য ফসকে গেল এই ইভেন্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের। তবে রুপা জিতে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে যুক্তরাষ্টের সবচেয়ে বেশি পদক পাওয়া নারী অ্যাথলেট হয়ে গেছেন ফেলিক্স। লন্ডনে ২০০ মিটারে স্বর্ণ ছাড়াও জিতেছিলেন ৪*১০০ ও ৪*৪০০ মিটার রিলের সোনালী পদকও। বেইজিংয়ে ৪*৪০০ মিটার রিলের স্বর্ণের পাশাপাশি ২০০ মিটারে রুপা। আর সেই ২০০৪ সালে এথেন্সে ২০০ মিটারে রুপা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।