নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম দুই ম্যাচে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন নেইমার, দলও হোঁচট খায় গ্রæপ পর্বের সেই দুই ম্যাচেই। তৃতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে কিছুটা নিজের উপস্থিতি জানান দেন ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, দলও জেতে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে তো জয়ের পাশাপাশি গোলের সাক্ষাৎ পান ব্রাজিল অধিনায়ক। অর্থাৎ সময় যতই গড়াচ্ছে নেইমারের সাথে ব্রাজিলটাও ততই যেন শানিত হচ্ছে। হন্ডুরাসের জন্য যা মোটেও সুখবার্তা নয়। আজ রাত দশটার রিও অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হন্ডুরাস। ম্যাচকে ঘিরে হন্ডুরাস কোচ সার্জিও লুইস পিন্টোর ভাবনাও তাই নেইমারকে ঘিরেই।
‘নেইমারকে নিয়ে এবং তাকে কীভাবে সামলাতে পারি তা নিয়ে অনেক ভাবছি আমি। তাকে পাহারা দেওয়ার খেলোয়াড় খুঁজছি,’ বলেন পিন্টো। পিন্টো অবশ্য নেইমারকে ভালোভাবেই চেনেন। ভেনিজুয়েলার ক্লাব দিপোর্তিভো তাচিরার হয়ে ও হন্ডুরাসের জাতীয় দলের হয়ে নেইমারকে সামলেছেন তিনি। এ থেকে নিশ্চয় আত্মবিশ্বাস পাবেন তিনি। প্রতিপক্ষের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো মানসিক সক্ষমতা তার দলের আছে বলে জানান পিন্টো। এছাড়া হন্ডুরাস কোচ প্রতিপক্ষকে প্রচ্ছন্ন একটা হুমকিও দিয়ে রাখলেন, ‘ব্রাজিল ফুটবলে খুব শ্রদ্ধা আছে আমার; কিন্তু বর্তমানে আপনি সমর্থক বা আপনার জার্সির রংয়ের জোরে জিততে পারেন না।’
ব্রাজিলকেও কিন্তু হন্ডুরাসকে সমীহ না করে উপায় নেই। গ্রæপ পর্ব থেকে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে দিলো তো এই হন্ডুরাসই। কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিন কোরিয়াকে হারিয়ে সমর্থের পরীক্ষাও দিয়েছে তারা। তবে ব্রাজিলের সর্বমহলে এখন আলোচিত বিষয় হন্ডুরাস নয়। ব্রাজিল স্বর্ণ জিতলে নাকি দলের প্রত্যোক খেলোয়াড়েরই পকেট বেশ ভারি হবে বোনাস মানিতে। এমন গুঞ্জন এখন বিভিন্ন গনমাধ্যমে। দলের পিএসজি ডিফেন্ডার মারকুইনহোস অবশ্য বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা বোনাস নিয়ে কোনো আলোচনাই করিনি, ব্রাজিলিয়ান ফেডারেশনের সাথেও এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। দলের সকলেরই স্বপ্ন এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়া, তারপর বাকি বিষয়।’
হন্ডুরাসকে হারাতে পারলে অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ জয়ের পথে ব্রাজিলের শেষ বাধা হতে পারে জার্মানি। সেমিফাইনালে অপর ম্যাচে জার্মানদের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। সামর্থ্যরে পরীক্ষা দিয়ে তারাও পা রেখেছে সেমিতে। তবে এই ম্যাচে জার্মানিকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৯ বার বল পাঠিয়েছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা পর্তুগালকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। ফাইনালে যদি ব্রাজিলিয়ানরা এই জার্মানির মুখোমুখি হয় তাহলে বিশ্বকাপের সেই ৭-১ গোলের করুণ স্মৃতি নিশ্চয় মনে করতে চাইবে না সেলেসাওরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।