বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ সরকারী হিসেবেই ৯ হাজার অতিক্রম করল। বুধবার সকালের পূর্ববর্তী ৭২ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৮৭ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে মোট ‘কোভিড-১৯’ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭ জনে। আগের ৭২ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৯। তবে এসময়ে আরো ৭৮ জন সহ এ মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪৩৩ জন। সুস্থ্যতার হার ৯৩.৫২%। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনে নতুন কোন মৃত্যু সংবাদ না থাকলেও ইতোমধ্যে সংখ্যাটা ১৭৭-এ পৌছেছে। ২৯ অক্টোবর সর্বশেষ পটুয়াখালীতে একজনের মৃত্যুর দিন পর্যন্ত হারটা ছিল ২%। তবে ৩০অক্টোবর তা ২% ও ৩১ অক্টোবর ১.৯৮%-এ নেমে আসে। বুধবারে এ অঞ্চলে মৃত্যুহার ছিল গত সাড়ে ৭ মাসের সর্বনিম্ন ১.৯৬%।
এখনো বরিশাল মহানগরী স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলদের স্নায়ুচাপ বৃদ্ধি করে চলেছে। এপর্যন্ত বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্ত ৩,৯০২ জনের মধ্যে মহানগরীতেই সংখ্যাটা ৩ হাজার। জেলা মৃত ৭২ জনের মধ্যে মহানগরীতে সংখ্যাটা প্রায় ৪০। অথচ বরিশাল বিভাগের জেলার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬%-এ নগরীতে বাস করে। গত তিন দিনে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ৮৭ জনের মধ্যে ৬০ জনই ছিল বরিশাল জেলায়। যারমধ্যে মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৪৪। গত ২ নভেম্বর বরিশাল জেলায় আক্রান্ত ২৪ জনের ২২জনই চিল এ মহানগরীতে। ৩ নভেম্বর লোয় ১৭ জনের ১৪ জন ও ৪ নভেম্বর ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জনই বরিশাল মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৮মার্চ দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম করোনা সনাক্তের পরে অক্টোবর মাসেই সংক্রমন ও মৃত্যুহার সর্বনি¤œ পর্যায়ে থাকলেও বরিশাল মহানগরী এখনো স্বাস্থ্য বিভাগকে অনেকটা দুঃশ্চিন্তায় রেখেছে। মূলত এ নগরীতে অনেক আগে থেকেই করেনা ঝুকি নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে তেমন কোন সচেতনতা নেই। স্বাস্থ্য বিধি অনুসরনে এ নগরীতে কোন পদক্ষেপ দুরের কথা নুন্যতম কোন প্রচারনাও নেই। অথচ দক্ষিণাঞ্চলে যেখানে করেনা সংক্রমন হ্রাস পাচ্ছে, সেখানে এনগরীর পরিস্থিতি স্বাস্থ্য বিভাগের অস্বস্তিবৃদ্ধি করছে।
অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলে এখনো করোনা সনাক্তের হার নমুনা পরিক্ষার তুলনায় ১৭.০২%। পাশাপাশি পরিক্ষার সংখ্যাও নগন্য। বরিশাল ও ভোলার দুটি পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬শ নমুনা পরিক্ষা সম্ভব হলেও বাস্তবে হচ্ছে ২শরও কম। ২ নভেম্বর বরিশালে ১৩৭, ভোলায় ৫৪, ৩ নভেম্বর বরিশালে ১৫৩, ভোালায় ১৭, আর বুধবার- ৪ নভেম্বর বরিশালে ১৪৭ এবং ভোলাতে মাত্র ১০ জনের নমুনা পরিক্ষা করা হয়েছ । ফলে প্রকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা নির্নয় হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।
বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে ৬ জেলায় মোট আক্রান্ত ৯,০১৭ জনের মধ্যে বরিশাল জেলার সংখ্যাই ৩,৯০২,মারা গেছেন ৭২ জন। পটুয়াখালীতে আক্রান্ত ১,৫২৯, মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। পিরোজপুরে আক্রান্ত ১,১১০, মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। বরগুনাতে আক্রান্ত ৯৩৪, মারা গেছেন ১৯ জন। ভোলাতে আক্রান্ত ৮০৮ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। অপরদিকে ছোট জেলা ঝালকাঠীতে ৭৩৫ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুধবার সকালে ৩৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময়ে কেরানা ওয়ার্ডে আরো ১৪ জন ছাড়াও আইসিইউ’তেও ৬জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত দিন দশেক যাবত দক্ষিণাঞ্চলেন সর্ববৃহত এ হাসপাতালটিতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।