Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যাজিক নাম্বার ২৭০ : বাইডেন ১৯২, ট্রাম্প ১১৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:১৮ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দিকে পাওয়া অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরালগুলোতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ডা ট্রাম্প থেকে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন।

বিবিসি জানিয়েছে, পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্যের ৩১ টির ফলাফলে দেখা গেছে ৩০৬ টি ইলেক্টোরালের মধ্যে ১৯২টি গেছে বাইডেনের ঘরে, ১১৪ টি পেয়েছেন ট্রাম্প।

এর মধ্যে কেন্টাকি, ওকলাহোমা, টিনেসাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াসজ ১৪টি অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালেও এসব রাজ্যে জয় পেয়েছিলেন তিনি।

অন্যদিকে নিজ অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়ার, নিউ ইয়র্ক, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১২টি অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন বাইডেন। এসব অঙ্গরাজ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন সে সময়ের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের জন্য লড়েছেন প্রার্থী দু’জন। জয় পেতে দরকার দুই-তৃতীয়াংশ ইলেক্টোরাল, অর্থাৎ ২৭০টি।

ম্যাজিক নাম্বার ২৭০। যদি এই সংখ্যাটি মিলে যায় তবেই কেল্লাফতে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বা ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন- দু’জনের যিনিই এই সংখ্যা মিলিয়ে ফেলতে পারবেন, তার হাতেই উঠবে হোয়াইট হাউজের চাবি। কিন্তু কেউই যদি এই সংখ্যা স্পর্শ করতে না পারেন, অর্থাৎ ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট না পান তাহলে কি হবে! হ্যাঁ, এক্ষেত্রে একেবারে অন্য রকম এক উন্মাদনা সৃষ্টি হবে। যদি এমন হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী কে সে দায়িত্ব চলে যাবে প্রতিনিধি পরিষদের হাতে। এ খবর দিয়ে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট লিখেছে, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জো বাইডেনের মধ্যে ২৬৯-২৬৯ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে টাই হয় বা সমতা হয়, তাহলে তা ভাঙার দায়িত্ব পড়বে প্রতিনিধি পরিষদের ওপর। রাজনৈতিক নিরপেক্ষ একটি ওয়েবসাইটে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, যদি নির্বাচনে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান তাহলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিনিধি পরিষদ।

সেক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিদের একটি করে ভোট থাকবে। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কমপক্ষে ২৬টি রাজ্যের ভোট পেতে হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য। তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ২৬টি রাজ্যের ভোট পেতে হবে একজন প্রার্থীকে। অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন সিনেটররা। প্রতিজন সিনেটরের থাকবে একটি ভোট। ফলে একজন প্রার্থীকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে কমপক্ষে ৫১ জন সিনেটরের ভোট প্রয়োজন হবে। যদি পরিস্থিতি এমন হয় তাহলে সবকিছু থাকবে ট্রাম্পের অনুকূলে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক প্রতিনিধি আলেকজান্দার বার্নস বলেছেন, যদি পরিস্থিতি এমনই হয় তাহলে সুবিধা পেতে পারে রিপাবলিকানরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ