Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

লম্বা দৌড়ে আফ্রিকান আধিপত্য

প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৫ পিএম, ১৬ আগস্ট, ২০১৬

স্পোর্টস ডেস্ক : লম্বা দৌড়ে আফ্রিকান দৌড়বিদদের আধিপত্য অনেক দিনের। এবারো সেটা অক্ষুণœই থাকল। যদিও সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না ৮০০ মিটারের বর্তমান রাজা ও বিশ্ব রেকর্ডের মালিক ডেভিড রুদিশার। দূরপাল্লার এই দৌড়বিদ কেনিয়ার অলিম্পিক ট্রায়ালে হয়েছিলেন তৃতীয়। তবে জ্বলে উঠলেন ঠিক সময়মত। ক্রীড়াযজ্ঞের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিকে শেষ ল্যাপে দুর্দান্ত দৌড়ে ৮০০ মিটারে সেরার খেতাব ধরে রেখেছেন কেনিয়ার এই অ্যাথলেট। সেইসাথে ১৯৬৪ সালে নিউজিল্যান্ডের পিটার স্নেলের পর প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে পর পর দুই অলিম্পিকে এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতলেন রুডিশা।
তবে রিও অলিম্পিকের দশম দিনে আলোচনার কেন্দ্রতে ছিল শনে মিলারের ডাইভ। গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অ্যালিসন ফেলিক্সের সামান্য পেছনে থেকে হয়েছিলেন দ্বিতীয়। সেই ঘটনা থেকে যে তিনি ভালোই শিক্ষা নিয়েছেন তা বলাই যায়। রিওতে ৪০০ মিটারের ফাইনালেও যখন দেখলেন একই ফল হতে যাচ্ছে তখনই ফিনিশিং লাইনে দিলেন ডাইভ। আর তাতেই স্বর্ণ নিশ্চিত হয় বাহামাসের এই স্প্রিন্টারের। পরে শরীরে ব্যথা নিয়েই তিনি ওঠেন বিজয় মঞ্চে। উচ্ছ্বসিত মিলার বলেন, ‘এই মুহূর্তটার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। আমি অনেক খুশি, অনেক কৃতজ্ঞ।’
৪০০ মিটারের এই ইভেন্টে প্রথম হওয়ার কথা ছিল আসলে চারটি অলিম্পিক স্বর্ণের মালিক ফেলিক্সেরই। কিন্তু মিলারের শেষ সময়ের চালাকিতে হার মানতে হয় তাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট রুপা জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের পাতায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে যুক্তরাষ্টের সবচেয়ে বেশি পদক পাওয়া নারী অ্যাথলেট এখন ফেলিক্স।মিলার যেখানে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে জিতেছেন স্বর্ণ সেখানে নিজের ভুলে রিও অলিম্পিকের চতুর্থ স্বর্ণ হাতছাড়া করেন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টিক্স তারকা সিমোনে বাইলস। নিজের রুটিনে হঠাৎ পিছলে যান যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট বাইলস, পতন ঠেকাতে বিমে হাত দিয়ে বসেন। এই ভুলের পর শেষ পর্যন্ত ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রিওতে এখন পর্যন্ত তিনটি স্বর্ণ জেতা এই জিমন্যাস্টকে। ব্যালেন্স বিমে সেরা হয়ে প্রথম ডাচ নারী হিসেবে অলিম্পিক জিমন্যাস্টিক্সে স্বর্ণ জিতেছেন সানে ভেভার্স।
তবে দিনের সবচেয়ে একপেশে প্রতিযোগিতা উপহার দিয়েছে মেয়েদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেইজ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রায় ৫০ মিটার পেছনে ফেলে স্বর্ণ জেতেন জেবেথ রুথ। এবারের অলিম্পিকে তার হাত দিয়েই প্রথম স্বর্ণেও দেখা পেলো বাহরাইন। আট মিনিট ৫৯ দশমিক ৭৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে স্বর্ণ জিতলেও অল্পের জন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয়নি জেবেতের। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে ৮ মিনিট ৫৮.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ডটি গড়েছিলেন রাশিয়ার গুলনারা গালকিনা। নয় মিনিট ৭.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এমা কোবার্ন। যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে স্বর্ণেও ছড়াছড়ি সেখানে কোবার্কেও এই ব্রোঞ্জ বয়ে এনছে এক দারুণ এক কীর্তি। কোবার্টের হাত ধরেই স্টিপলচেইজ থেকে এই প্রথম অলিম্পিক পদক জেতে যুক্তরাষ্ট্র। রেসলিংয়ে মিজাইন লোপেসের টানা তৃতীয় স্বর্ণকেও মূল্যায়ন করতে হয় আলাদাভাবে। গ্রেকো-রোমান রেসলিংয়ের ১৩০ কেজি ওজনশ্রেণিতে তুরস্কের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রিজা কায়ালপকে ৬-০ ব্যবধানে হারিয়ে অলিম্পিকে নিজের তৃতীয় স্বর্ণ জেতেন কিউবার এই রেসলার। এর আগে এই কীর্তি ছিলো কেবল রাশিয়ার কিংবদন্তি কুস্তিগীর আলেক্সান্দার কারেলিনের। বেইজিং ও লন্ডন অলিম্পিকে ১২০ কেজিতে স্বর্ণ জিতেছিলেন লোপেস।
স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে রিও অলিম্পিকে হাজির হয়েছিলেন জাপানি অ্যাথলেট হিরোকি ওগিতাও। কিন্তু পোল ভোল্টে অনাকাক্সিক্ষত এক পরিস্থিতির শিকার হয়ে সেই স্বপ্ন চুর হয়ে যায় তার। কোয়ালিংফাই রাউন্ডে গ্রুপ ‘এ’-তে অংশ নিয়ে ৫.৩ মিটার উচ্চতা পাড়ি দিতে গিয়েই তাতে বাদ সাধল তার পুরুষাঙ্গ! পোল বেয়ে লাফিয়ে উঠেছিলেন ঠিকই। কিন্তু বার অতিক্রম করার সময় ঘুরে গিয়ে উপুড় হয়ে দুপা এগিয়ে অনেকটাই নেমে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বারে পুরুষাঙ্গের স্পর্শ লেগে ডিসকোয়ালিফাইড হয়ে অলিম্পিক স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ২৮ বছর বয়সি এই অ্যাথলেটের।



 

Show all comments
  • ফারজানা ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১১:৫৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশি কেউ কিছু করতে পেরেছে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লম্বা দৌড়ে আফ্রিকান আধিপত্য
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ