পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মফিজুর রহমান (৪৮)। সদ্য সুস্থ হওয়া স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিজ বাড়ি লোহাগোড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তার সাথে স্ত্রী ছাড়াও ছিলেন ছোট ছেলে ও দুই শ্যালক। মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা নাদিয়া পরিবার-পরিজনদের দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের এগারোমাইল লক্ষীপুর এলাকায় পৌঁছালেই ঘটে বিপত্তি। বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নাদিয়াসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্স চালক দাসেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন মোল্যার ছেলে টিপু মোল্যা (৪০) , লোহাগড়া তেল পাম্প এলাকার গ্যারেজ মিস্ত্রী সিংগা গ্রামের মফিজুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী নাদিয়া বেগম (৩৪), ছোট ছেলে রিফাত রহমান (১৪) ও মফিজুরের শ্যালক আলিম শেখ (৪৫)। এ সময় আহত অপর শ্যালক ইনছান (৫২) কে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় বিকাল ৪টায় অ্যাম্বুলেন্সটি লক্ষীপুর নিয়ত মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বিএডিসির পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় আরও একজন আহত হন। গুরুতর আহত একজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী।
পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, দুর্ঘটনাটি এমনভাবে ঘটেছে যে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের ভেতর গেঁথে গেছে। নিহত ব্যক্তিদের সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ও চালক। দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে মফিজুর রহমান তার মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে আনতে যায়। সেখান থেকে দুপুরে নাদিয়াকে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স যোগে লোহাগড়ায় ফেরার পথে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া এলাকায় ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহত টিপুর দাসেরডাঙ্গাস্থ বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার খবর শুনে তার মা, স্ত্রী, বোন, সন্তানরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তবে মফিজুরের পুরো পরিবার নিহত হওয়ায় আত্মীয়-স্বজনরাই কান্না-কাটি করছে। প্রতিবেশিদের অনেকেই ওই বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। ওই এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।