গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রাদুর্ভাব ও সঙ্কটের মাঝেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার নেতৃত্বে ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসাতালের মূল ভবন ২তলা বেজমেন্টসহ ভবনের সকল ফ্লোর নির্মাণসহ কাঠামোগত (স্ট্রাকচারাল) কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনে ইটের কাজ (ব্রিক ওয়ার্ক), প্লাস্টার, ফিনিশিং ওয়ার্ক, বেস প্যানেল, টেরাকোটা প্যানেল, এলমোনিয়াম লুবার, এলমোনিয়াম শীটসহ অন্যান্য কাজসহ সামগ্রিক কার্যক্রম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক দেশের প্রথম এই বিশ্বমানের সেন্টার বেইসড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সভায় মিলিত হয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডীন ও হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক এন্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বমানের এই হাসপাতালটির সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, উপ- প্রকল্প পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নূর ই এলাহী, পরামর্শক দাতা প্রতিষ্ঠান সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অর্কিটেক্ট এর প্রধান কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার জাংগ হোবিন, ডেপুটি কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার শ্রীকান্ত রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান জানান, হাসাতালের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সাড়ে ছয়শত শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই হাসপাতালটিতে একজন রোগী একই সেন্টার থেকে সব ধরণের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। হার্ট, কিডনী, লিভারসহ বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগে অক্রান্ত রোগীদের একই সেন্টার থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। বিশ্বমানের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ থাকবে হাসপাতালটি। রোগীদের সকল রেকর্ড রাখা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তিনি জানান, সেকেন্ড ফেইজে বিভিন্ন ধরণের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগী বান্ধব সুবজ হাসপাতাল। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাসহ জনসাধারণ এখানে সাশ্রয়ীমূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবার এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে। বিশেষ করে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দিগন্ত প্রসারিত হবে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির মাধ্যমে ‘বিদেশ নয়, দেশেই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা’ দেয়া সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।