পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিনজন আত্মহত্যা করেছেন। তারা হলো-মতিঝিল এলাকার বিল্লাল হোসেন (৪০), সবুজবাগ এলাকার সোনিয়া আক্তার সুমি (১৯) ও আহির বিশ্বাস (১৫)। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় আহিরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহিরের মামা তাপস কান্তি বল জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার শষিকর গ্রামে। আহিরের বাবা ডা. রঞ্জিত বিশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সেখানেই থাকেন। মা সংগীত শিল্পী রমা বাড়ই মেয়ে আহির ও এক ছেলেকে নিয়ে মগবাজার গাবতলা এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকে।
তিনি আরও জানান, আহির স্থানীয় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ভারতশ্বরী হোমস্ স্কুলের ১০ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। সকালে আহিরের মায়ের কাছে সংবাদ পান যে, আহির দরজা খুলছে না। পরে মগবাজারের বাসায় গিয়ে দেখেন আহির ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান আহিরকে। পরে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহিরের আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আহিরের স্কুল বন্ধ। বাসায় ঠিকমতো পড়াশোনা করতো না সে। এ নিয়ে রোববার রাতে ওর মা তাকে বকাঝকা করে। এই কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে সে।
এদিকে মতিঝিল থানার এসআই মো. জয়নাল আবেদীন জানান, কুমিল্লার চান্দিনার আব্দুল খালেকের ছেলে বিল্লাল হোসেন। এক মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার নিয়ে মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনির জি ১২/১/২ নম্বর বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। ফকিরাপুল এলাকার একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন তিনি। রোববার রাতে বিল্লাহ বাসায় সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। কী কারণে ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়েছেন তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে।
অপরদিকে সবুজবাগ থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সোনিয়া আক্তার সুমির স্বামী শামীম সরদারকে নিয়ে সবুজবাগের কদমতলা আট নম্বর লেনে একটি বাসার ভাড়া থাকতো। সুমির বাবার বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। গত চার মাস আগে শামীম এবং সুমির বাবার পছন্দের মতে তাদের বিয়ে হয়। শামীম কিছুটা এবনরমাল ছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যামেরাম্যানের কাজ করতেন তিনি আর সুমি গৃহিণী। সুমির স্বামী শামীমকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না। সবসময় স্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো। এই নিয়ে তার বাবা রোববার এসে তার সঙ্গে একটু রাগারাগি করেন। পরে তিনি অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে চলে যায়। রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় তিনি।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ওই বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যর কারণেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।