নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে আলো কেড়েছিলেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। সেই রাওয়ালপিন্ডিতেই পরের ম্যাচে এবার নায়ক অখ্যাত এক স্পিনার। ইফতেখার আহমেদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে মাত্র ২০৬ রানে। জবাবে মাত্র ৩৫.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজটি ২-০তে নিশ্চিত করে বাবর আজমের দল।
গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক চামু চিবাবা। তবে নিজের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হন নিজেই। দলীয় ১৮ রানে হারিস রৌফের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৬ রান করে। চিবাবাকে অনুসরণ করেন মাত্র ৩ রানে ইনিংসের ইতি ঘটান ক্রেইগ আরভিনও। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ব্রেন্ডন টেলর ক্রিজে এসে সঙ্গী হিসেবে পান ওপেনার ব্রায়ান চারিকে। তবে চারির ২৫ রানের ইনিংসও থেমে গেলে চাপ সামলানোর দায়িত্ব নিতে হয় শন উইলিয়ামসকে।
চতুর্থ উইকেটে টেলরের সাথে ৬১ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামস। টেলরের ইনিংস এদিন থেমে যায় ৩৬ রানে। তারপর একাই লড়ে গেছেন উইলিয়ামস। ওয়েসলে মাধেভেরে (১০), সিকান্দার রাজা (২) ও টেন্ডাই চিসোরোর (৭) বিদায় দেখে নিজেও সাজঘরে ফিরে যান। তার আগে ৭০ বলের মোকাবেলায় ৭৫ রান করেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায়। পাকিস্তানের পক্ষে এদিন বল হাতে বাজিমাত করেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ। অফ স্পিনে ক্যারিয়ারের ৫ ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট পাওয়া ৩০ বছর বয়সী ইফতিখার নিজের ষষ্ঠ ম্যাচে একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। অভিষিক্ত মোহাম্মদ মুসা দুটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন হারিস রৌফ, ইমাদ ওয়াসিম ও ফাহিম আশরাফ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও আবিদ আলী। আবিদের (২২) বিদায়ে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। পরে ফিফটি থেকে মাত্র এক রান আগে ইমাম (৪৯) ফেরেন দলীয় শতরানের মাথায়। পরে হায়দার আলী ও ইফতেখারকে নিয়ে দুর্দান্ত দুই জুটিতে দলকে জয় এনে দেন বাবর। দুটি ছক্কা ও ৭টি চারে পাক দলপতি অপরাজিত থাকে ৭৭ রানে।
এই ম্যাচে পাকিস্তানকে আরেকটি রেকর্ড উপহার দিয়েছেন আলিম দার। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ড তার। এবার আরেকটি কীর্তি গড়লেন পাকিস্তানের এই আম্পায়ার। নিজের করে নিলেন ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ২১০ ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড। পেছনে ফেললেন রুডি কোয়ের্টজেনকে। গত শুক্রবার পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের প্রথম ওয়ানডেতে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নেমে দার স্পর্শ করেন কোয়ের্টজেনের ২০৯ ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।