বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে গত ৭ মাসের মধ্যে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরেই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সর্বনিন্ম হলেও বরিশাল মহানগরীর পরিস্থিতি এখনো স্বাস্থ্য বিভাগকে দুঃশ্চিন্তায় রেখেছে। তবে শেষ সপ্তাহে বরিশাল ছাড়াও পটুয়াখালী ও ভোলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়তির দিকে ছিল। আর এখনো গোটা দক্ষিণাঞ্চলের আক্রান্ত ও মৃতের উল্লেখযোগ্য অংশই বরিশাল মহানগরীতে। অথচ এ নগরীতে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬% মানুষের বসবাস। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৯২৪ জনের মধ্যে বরিশালের সংখ্যাটা ৩ হাজার ৮৩৯। এরমধ্যে মহানগরীতেই আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। এমনকি এপর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনে ১৭৭ জনের মৃত্যু হলেও বরিশালেই মারা গেছেন ৭২ জন। যারমধ্যে মহানগরীতে সংখ্যাটা ৪০-এর কাছে।
অক্টোবর মসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় করোনা সংক্রমনে মোট আক্রান্ত ৫৭১ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৬জন। এ সংখ্যাটা গত মধ্য মার্চের পরে সর্বনি¤œ হলেও মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গত সপ্তাহখানেক ধরে তাপমাত্রার পারদও কিছুটা নিন্মমূখি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল বিষয়টি নিবিড় পযর্যবেক্ষন করছেন বিধায় এখনই কোন মন্তব্য করেননি।
গত মধ্য মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট করোনা সংক্রমিত ২,৮৪৮ জনের মধ্যে মৃত্যু ঘটে ৬০ জনের। আর সুস্থ হয়েছিলেন ৮১৫ জন। তবে জুলাই মাসের ৩১ দিনেই নতুন আক্রান্ত হন ২,৬৯৬ জন। ঐ মাসে মৃত্যু হয় ৫১ জনের। সুস্থ হয়েছিলেন ২,৮২২ জন। তবে আগষ্ট থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষনীয় ছিল। আগষ্টের ৩১ দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের মাসের একই সময়ের চেয়ে ৯৬০জন কমে ১,৭৩৬-এ স্থির ছিল। মৃতের সংখ্যাও আগের মাসের ৫১ থেকে ১১ জন হৃাস পেয়ে ৪০-এ স্থির হয়। তবে আগষ্টে নতুন ২,২২৬ জন সহ মোট সুস্থতার সংখ্যাটা দাড়ায় ৫,৮৬৩ জনে।
সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আরো এক হাজার কমে ৭৬৮তে হ্রাস পায়। মৃতের সংখ্যাও আগের মাসের ৪০ থেকে ১৫ জনে নেমে আসে। এ মাসে আক্রান্ত ও মৃতের হার ছিল যথাক্রমে ১৭.৪৩% ও ২.০৫%। আর নতুন ১,৭৭০ জন সহ সর্বমোট সুস্থ হয়ে ওঠেন ৭,৬৩৩জন। সুস্থ্যতার হার ছিল ৯১.৪৪%। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮,৩৪৮।
আর সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসের ৩১ দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭১। যা আগের মাসের চেয়ে আরো ২৫১ জন কম। এমাসে মৃত্যু হয়েছে আগের মাসের ১৫ জনের স্থলে ৬ জনের। গতমাসে সনাক্তের হারও ১৭.০৪%-এ হ্রাস পায়। তবে তা এখনো জাতীয় হারের অনেক ওপরে। আর মৃত্যু হারও সাড়ে ৭ মাস পরে ২%-এর নিচে, ১.৯৮%-এর হ্রাস পেয়েছে। গতমাসে নতুন আরো ৭২২ জন সহ সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৫৫জন। সুস্থতার হারও গতমাসের তুলনায় ২.১২% বৃদ্ধি পেয়ে ৯৩.৫৬%-এ দাড়িয়েছে।
তবে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার মধ্যে বরিশাল মহানগরীর করোনা পারিস্থিতি স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বস্তি দিচ্ছে না। এমনকি গত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও তার প্রায় পুরোটাই বরিশাল জেলা ও মহানগরীতে।
এদিকে গত ৭২ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করেনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৯ জন। যার মধ্যে বরিশালের সংখ্যাই ২৭। তবে নমুনা পরিক্ষার সংখ্যা গত মাসখানেক ধরে হ্রাস পাওয়ায় মূল আক্রান্তের সংখ্যা বোঝা যাচ্ছে না। এখনো বরিশাল ও ভোলার দুটি পিসিআর ল্যাবে গড়ে দেড়শ নমুনা পরিক্ষাও হচ্ছেনা। স্বাস্থ্য বিভাগের রবিবারের পরিসংখ্যান বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে মাত্র ৭৩ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৬ জনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। আগেরদিন বরিশালে ১৮৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় করোনা পজিটিভ সনাক্তর সংখ্যা ছিল ২৬ জন।
রবিবার সকালে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩ জন। এসময়ে হাসপাতালটির আইসোলেশনে ছিলেন আরো ২২জন। এবং আইসিইউতে আরো ৩জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। যে সংখ্যাটা গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছিল যথাক্রমে ১৬ ও ১৭ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।