নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বড় রান তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার আনতে পারলেন না ভালো শুরু। তিনে নেমে ক্রেইগ আরভিনের দ্যুতির পর অভিজ্ঞ ব্র্যান্ডন টেইলর তরুণ ওয়েসলি মাদভেরেকে নিয়ে দেখাতে থাকেন ঝলক। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নেন দারুণ সেঞ্চুরি। অসাধারণ জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ দিকে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দুই পেসার ওয়াহাব রিয়াজ আর শাহীন আফ্রিদির পেস কাবু হয়ে গেছে তারা। ঘরের মাঠে ২৬ রানের জয় দিয়ে ক্রিকেট ফেরার দিনটি রাঙিয়েছে পাকিস্তান।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে উপমহাদেশের প্রথম দেশ হিসেবে নিজ দেশে ক্রিকেট ফিরিয়েছিল পাকিস্তান। শুরুর দিনটা তাদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিলেও জিম্বাবুয়ে পেরে উঠেনি। শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আগে ব্যাট করে ইমাম-উল হক আর হারিস সোহেলের ফিফটিতে ২৮১ রান করেছিল পাকিস্তান। টেইলরের দুরন্ত দিনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস থাকা ওই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান জিতেছে ২৬ রানে। জিম্বাবুয়ের ২৫৫ রানের মধ্যে ১১২ রান করেন টেইলর, মাদভেরে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। শেষ স্পেলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া বল করে ওয়াহাব ৪১ রানে নেন ৪ উইকেট । শাহীনের ৪৯ রানে পান ৫ উইকেট।
২৮২ রান তাড়া করতে গিয়ে ওপেনার ব্রায়ান চারি আর চামু চিবাবা ২৮ রানের ভেতরেই বিদায় নেন। পাঁচে নেমে রান আসেনি শন উইলিয়ামসের ব্যাট থেকেও। আরভিনের শুরু ঝলকের পরও ১১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর ভোল্ট পালটে দেন মাদভেরে আর টেইলর। নিজের দিনে টেইলর কতটা বিধ্বংসী আগেও প্রমাণ দিয়েছেন। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান পরিস্থিতিতির দাবি মিটিয়ে এদিনও হয়ে উঠেন উত্তাল। কাভার ড্রাইভ, পুলের মতো শটের পাশাপাশি আপার কাট, স্কুপে মাত করেন তিনি। ১০৭ বলেই পৌঁছান ওয়ানডেতে একাদশ সেঞ্চুরিতে।
ওভারপ্রতি ১০ রান নেওয়ার সমীকরণে ম্যাচ জিম্বাবুয়ের দিকেই হেলছিল। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজ এসে এনে দেন ব্রেক থ্রো। ৬১ বলে ৫৫ করা মাদভেরে বোল্ড হলে ভেঙ্গে যায় তাদের ১১৯ রানের জুটি। পরে টেইলরও আর আগাতে পারেননি বেশি। শাহীন আফ্রিদির বলে আকাশে তুলে আউট হন ১১২ রান করে। ১১৭ বলের ইনিংসে ১১ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩ ছক্কা। ওয়াহাব শেষ ভরসা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করলে আর ম্যাচে থাকতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টেল এন্ডরদেরও ভাগাভাগি করে ছেঁটে ফেলেন তারা।
এর আগে পাকিস্তানের ইনিংসের ভালো শুরু এনে দেন ওপেনার ইমাম। রান আউটে কাটা পড়ার আগে করেন ৭৫ বলে ৫৮ রান। তবে দলের রান চ্যালেঞ্জিং জায়গায় নেওয়ার কৃতিত্ব হারিস সোহেলের। বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৮২ বলে করেছেন ৭১ রান। শেষ দিকে দুই ঝড়ে দলের রান তিনশোর কাছাকাছি নেওয়ার কৃতিত্ব ইমাদ ওয়াসিম (৩৪*) আর ফাহিম আশরাফের (২৩)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮১ (ইমাম ৫৮, আবিদ ২১, বাবর ১৯ , হারিস ৭১, রিজওয়ান ১৪, ইফতেখার ১২, ফাহিম ২৩, ইমাদ ৩৪; মুম্বা ১/৬৯, মুজারাব্বানি ২/৩৯, রাজা ১/৪৫, চিসেরু ২/৩১)।
জিম্বাবুয়ে : ৫০ ওভারে ৪৯.৪ ওভারে ২৫৫ (চিবাবা ১৩, আরভিন ৪১, টেইলর ১১২, উইলিয়ামস ৪, মাদভেরে ৫৫, রাজা ৮; শাহীন ৫/৪৯, রিয়াজ ৪/৪১, ইমাদ ১/৪৯)।
ফল : পাকিস্তান ২৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ব্রান্ডন টেইলর (জিম্বাবুয়ে)।
সিরিজ : তিন ম্যাচে ১-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।