নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ সব কীর্তি গড়েছেন ক্রিস গেইল। সেসব নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে বিস্ময়ের সুর ওঠে নিয়মিতই। হাজার ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করার পর আবারও বইছে গেইল-স্তুতির জোয়ার। ভারতীয় কিংবদন্তি বিরেন্দর শেবাগ, যিনি নিজেও ছিলেন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান, গেইলকে টি-টোয়েন্টির ব্র্যাডম্যান বলেই ঘোষণা করে দিলেন তিনি।
ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে তুলনা মানে একরকম চূড়ান্ত কিছু। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয় স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে। ১৯৪৮ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির ৯৯.৯৪ টেস্ট ব্যাটিং গড় যেমন এত বছর পরও সবার ধরাছোঁয়ার অনেক বাইরে, তেমনি তার আরও অনেক ব্যাটিং কীর্তি বিস্ময় জাগায় এখনও।
২০ ওভারের ক্রিকেটেও তেমনি গেইলের কিছু রেকর্ড প্রায় অবিশ্বাস্য। এই সংস্করণে সাড়ে ১৩ হাজারের ওপরে রান তার। ১১ হাজারেও এখন পর্যন্ত পা রাখতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। ২২টি সেঞ্চুরি করেছেন টি-টোয়েন্টিতে, ৮টির বেশি নেই অন্য কারও। গত শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে আইপিএলের ম্যাচে আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেন গেইল। ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে মারেন এক হাজার ছক্কা। এখন পর্যন্ত ৭০০ ছক্কায় পৌঁছাতে পারেননি আর কেউ।
এছাড়া সবচেয়ে বেশি চার (১ হাজার ৪১টি), সবচেয়ে বেশি ফিফটি (৮৫টি), সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (১৭৫*), এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (১৮টি), এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান (১ হাজার ৬৬৫), এরকম আরও কিছু রেকর্ডও আছে গেইলের। গেইলের বর্তমান আইপিএল দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে তাকে নেওয়ায় বড় ভ‚মিকা ছিল শেবাগেরই। ২০১৮ আইপিএলের নিলামে দুই দফা অবিক্রিত থাকার পর তৃতীয়বারে পাঞ্জাবের সেই সময়ের ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান শেবাগ দলে নিয়েছিলেন গেইলকে। হাজার ছক্কার রেকর্ডের পর মুগ্ধ শেবাগ টুইটারে রায় দিয়ে দিলেন, ‘টি-টোয়েন্টির ব্র্যাডম্যান ক্রিস গেইল। নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা।’
ইতিহাস গড়ার উপলক্ষ রাঙাতে পারতেন সেঞ্চুরি দিয়ে। কিন্তু জফ্রা আর্চারের দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৬৩ বলে ৮ ছক্কায় ৯৯ রানে থামে তার ইনিংস। আউট হয়েই তাৎক্ষণিক হতাশায় ব্যাট মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেন গেইল। অনেক দূরে ছিটকে যায় তা। তবে পরক্ষণেই সামলে নেন নিজেকে। এগিয়ে গিয়ে হাত মেলান বোলার আর্চারের সঙ্গে।
মাঠের বাইরেও যথারীতি হতাশার লেশমাত্র নেই। ধরা পড়লেন চিরচেনা আনন্দপ্রিয় চেহারায়। ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়েও মজা করলেন দারুণ, ‘৯৯ রানে আউট হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। সেঞ্চুরি করতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। তবে এসব হয়ই। বলটি ভালো ছিল। যেটা বললাম, এরকম হয়ই। এখনও ভালোই লাগছে আমার। যারা সেঞ্চুরির আশা করেছিলেন, আজকে মিস হয়ে গেছে। দুঃখিত। তবে আমার ভাবনায় এটি সেঞ্চুরিই, আমি সেঞ্চুরিই করেছি আজকে... ঠিক আছে?’
আইপিএলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে একাধিকবার ৯৯ রানে থমকে গেলেন তিনি। আগে একবার অপরাজিত ছিলেন ৯৯ রানে। তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২২টি সেঞ্চুরি আছে তার। আর কোনো ব্যাটসম্যানের নেই ৮টির বেশি। ছক্কার রেকর্ডেও তার ধারেকাছে নেই কেউ। ১ হাজার ছক্কার কীর্তি নিয়েও গেইল প্রতিক্রিয়া জানালেন নিজের মতো করেই, ‘১ হাজার ছক্কা... আরেকটি রেকর্ড! ওহ ম্যান... আমি জানি না কি বলব...! ৪১ বছর বয়সেও এভাবে খেলতে পারছি, এজন্য ধন্যবাদ জানাতেই হবে... বছরে পর বছর ধরে অনেক পরিশ্রম ও নিবেদনের ফল মিলছে। এখনও একইভাবে খেলতে পারছি। সত্যি বলতে আমি কৃতজ্ঞ...।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।