মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দ্বারা একটি বড় বিক্ষোভের প্রাক্কালে সোমবার রাজতন্ত্র সমর্থকরা ব্যাংককে জার্মান দূতাবাসের সামনে সমাবেশ করেছে। এ সময় তারা রাজতন্ত্র সমর্থনের প্রতীক হলুদ শার্ট পরে ‘লং লিভ দ্য কিং’ বা, রাজা দীর্ঘজীবি হোক বলে শ্লোগান দেয়। সেখানে অনেকেই রাজতন্ত্রকে সমর্থন করে লেখা বার্তাসহ ব্যানার বহন করছিল।
সমাবেশের পরে দূতাবাসের এক কর্মকর্তার কছে রাজতন্ত্র সমর্থকদের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও জমা দেয়া হয়। চিঠিটি জার্মান রাষ্ট্রদূত জর্জি শ্মিটকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছিল এবং সেখানে পিপল অব থাইল্যান্ড গ্রুপের পক্ষ থেকে করেছিলেন নিতিটর্ন লামলুয়া এবং পিচিত চেইমংকোল। চিঠিতে থাইল্যান্ডে চলমান সংঘর্ষে জার্মানিকে সম্পৃক্ত করার একটি প্রচেষ্টা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিরোধটি একটি রাজনৈতিক লড়াই যা বিরোধী নেতাদের আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যারা পরবর্তীকালে তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’ সেখানে আরও বলা হয়, ‘তারা রাজনৈতিক মতবাদকে অসংখ্য মিথ্যাচারের সাথে একত্রিত করে এবং দক্ষ তথ্য অপারেশনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় এগুলি ছড়িয়ে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদেরকে কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করা। তারা প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে দেয়ার জন্য রাজতন্ত্রকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করাসহ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং পক্ষপাত পোষণ করে।’ শেষে বলা হয়, ‘তারা আবেগ ও মোহের উপর ভিত্তি করে এবং যুক্তি অগ্রাহ্য করে নেতিবাচক শক্তিকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।’
চিঠিতে বিক্ষোভরত বিভিন্ন দলের করা কিছু বিরোধপূর্ণ দাবি প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘বিরোধীদের অন্যতম দাবি হচ্ছে সংবিধান সংশোধন। এটি ইতিমধ্যে সংসদে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবং অন্যান্য দাবিগুলিও গণতন্ত্রের অধীনে রাজাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে গ্রহণ করার মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে।’ সবশেষে চিঠিতে বার্লিনকে পরিস্থিতি ক্রমবর্ধমানভাবে খারাপ হওয়া থেকে বিরত রাখতে বিক্ষোভ থেকে উদ্ভূত তথ্যগুলো শোনা এবং সাবধানতার সাথে বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
রাজতন্ত্র সমর্থকদের পক্ষে জার্মান দূতাবাসের সামনে সমাবেশের আহ্বানকারী আইনজীবী নিতিটর্ন লামলুয়া জানান যে, তারা আশা করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সরকারবিরোধী প্রতিবাদকারীদের আগমনের আগেই রাজতন্ত্র সমর্থকরা চলে যাবেন।
এদিকে, জার্মান দূতাবাসে অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করতে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা তাদের সমাবেশ স্থল হিসাবে সামায়ন চৌরাস্তা নির্ধারণ করেছে। তারা থাইল্যান্ডের রাজা জার্মান মাটিতে অবস্থান করা অবস্থায় তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে জার্মান সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য জার্মানির কর্তৃপক্ষকে কাছে দূতাবাসের মাধ্যমে একটি আবেদন জানাবে বলে এর আগে ঘোষণা দিয়েছিল। সূত্র: ব্যংকক পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।