গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : দু’টি অবুঝ শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে গেছে ড্রাইভার এমডি হাশেম মিয়া। শিশু দু’টিকে নিয়ে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মা লাকি আক্তার। গত তিন মাস ধরে হাশেম মিয়া তার স্ত্রী লাকি আক্তার, ছেলে লিয়ন ৭ ও মেয়ে আরিশার (৬ মাস) কোনো প্রকার খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। অসহায় লাকি অবুঝ দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর অপেক্ষায় থেকে তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই মর্মে তিনি ঢাকা ওয়ারি থানায় স্বামীর সন্ধান পাওয়ার আশায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
সাধারণ ডায়রি সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার দ্বিতীয় গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের মেয়ে লাকি আক্তারের সাথে একই জেলার মুরাদনগর থানার বৌড়ারচর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হালিমের পুত্র এমডি হাশেম ড্রাইভারের বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি।
বিয়ের পর তাদের আফতাব ইসলাম লিয়ন ও আরিশা ইসলাম নামের দুইজন ছেলে-মেয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হাশেম তার স্ত্রী লাকি ও দুই ছেলে-মেয়ের ঠিকমত ভরণ-পোষণ দেয়নি। এ নিয়ে স্ত্রী লাকি কোনো প্রাকার কথা বললেই তাকে তালাক দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাত। সে যেন এ নিয়ে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি না করে।
লাকি আক্তার বলেন, বিয়ের পর তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একটু সুখের আশায় এ পর্যন্ত আমার বাপের বাড়ি ও মামাদের কাছ থেকে বহু টাকা এনে দিয়েছি তাকে। তার চাপাচাপিতে পড়ে বাপের জমিন পর্যন্ত বিক্রি করে তাকে টাকা এনে দিয়েছি। তার হাতের টাকা শেষ হয়ে গেলেই আবার নতুন করে চাপাচাপি করতে থাকে আমি যেন বাপের বাড়ি থেকে তাকে টাকা এনে দিই।
তিনি বলেন, আমার বাপের বাড়িতে আর মাত্র ৭ শতক বসতের জমিন আছে। সে বলছে, আমি যেন তাকে এই ৭ শতক জমিন বিক্রি করে তাকে টাকা এনে দিই। আমি এই কাজটি কীভাবে করি?
তিনি বলেন, ৬ মাসের এই দুধের শিশু আর ৭ বছরের অবুঝ শিশু দুটিকে নিয়ে আমি এখন কোথায় যাই? এদের মুখে অন্ন আমি কোথা থেকে এনে দেই।
৭ বছরের অবুঝ শিশু লিয়ন বলে, অনেক দিন হয়েছে আব্বু আমাদের কাছে আসে না। আমরা খেতে পাই না। আব্বুর কি আমাদের কথা মনে পড়ে না। স্যার আমার আব্বুকে এনে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।