পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশীয় গোশত ও দুধের দাম কমানো এবং এই শিল্পের উন্নয়নে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। তাদের দাবিগুলো হচ্ছেÑ টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পশুখাদ্য সরবরাহ করা; বিদেশ থেকে গোশত আমদানি বন্ধ করা; খামারির বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিকীকরণ না করা; জমির খাজনা কৃষিখাতের আওতায় আনা; ২০ বছর আয়কর রেয়াত প্রদান; অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে বাল্ক ফিল্ড মিল্কের আমদানি শুল্ক ১০০ শতাংশে উন্নীত করা; দেশে গুঁড়ো দুধের প্লান্ট তৈরি বাড়ানো; অস্বাস্থ্যকর কনডেন্স মিল্ক তৈরি বন্ধ করা; খামারিদের বিনা জামানতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং ডেইরি বোর্ড গঠন করা; পশুর ভ্যাকসিন, মেডিসিন ও চিকিৎসা সেবা সহজ এবং বিনামূল্যে দেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দুধ ও গোশত উৎপাদনকারী খামারির সংখ্যা প্রায় আট লাখ। গত ৮ বছরে খামারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই পেশার সঙ্গে বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় দুই কোটি মানুষ। গোশত উৎপাদনে বাংলাদেশ হয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
গোশত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরেও প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ গোশত আমদানি করা হয়। শুধু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ফ্রোজেন প্যাকেট গোশত আমদানি করা হয়েছে। খামার শিল্প কৃষির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরেও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল এবং কর রেয়াত সুবিধা না থাকায় এই শিল্প চরমভাবে অবহেলিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি করোনাকালীন সময়ে সরকারের দেয়া প্রণোদনা পায়নি এই শিল্পের কৃষকরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑঅ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ ইমরান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাজিম উল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।