পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি তাগাদা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সংকট সমাধান না হলে তাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং অন্যরা বিপদে পড়তে পারে পাবে বলে বিশ্বকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ২০২০ অর্থবছরে আরেও প্রায় ২০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করার জন্য আয়োজিত দাতাদের ভার্চুয়াল সম্মেলন ‘সাসটেইনিং সাপোর্ট ফর দ্য রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স’ শীর্ষক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট স্টিফেন ই. বিগান এমন মন্তব্য করেন। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জন বার্সা ডেপুটি সেক্রেটারি উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সহআয়োজক হিসেবে যোগ দেয়।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান সহআয়োজকদের সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতি পুনরায় আহŸান জানান, তারা যেন রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থানে বা পছন্দের জায়গায় স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং টেকসইভাবে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় পরিবেশ ও ব্যবস্থা নেয়।
ডেপুটি সেক্রেটারি আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালা ও আইন সমুন্নত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং একতরফা সমাধানের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাতে রোহিঙ্গা এবং অন্যরা বিপদে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক বার্সা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মানবিক ত্রাণ ও উন্নয়ন সহায়তা সমন্বয় করা এবং বাংলাদেশের পাশে থেকে সহায়তা জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান ও ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক বার্সা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের ব্যবস্থার স¤প্রসারণের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহায়তার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো তুলে ধরেন।
এছাড়াও, এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীদের চাপ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য দাতা দেশগুলোর বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান তার বক্তব্যে ২০২০ অর্থবছরে আরেও প্রায় ২০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসা অংশীদারদের কথা উল্লেখ করে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহŸান জানান, যেন প্রয়োজনীয় তহবিলের ঘাটতি পূরণ করা যায়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর নিবন্ধিত ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে অবস্থিত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের অন্যান্য স¤প্রদায়ের সমর্থনে বৃহত্তম একক দাতা হিসাবে নেতৃত্ব অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।