Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিসিএলের প্লেয়ার্স লিস্টে নেই আশরাফুল ষ বিসিএলে করের আওতায় ক্রিকেটাররা বিসিবি সভাপতি চাইছেন, আশরাফুলও আশাবাদী

প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত ১৩ আগস্ট মুক্ত হয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে এখনো অপেক্ষা করতে হবে তাকে ২ বছর। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে কোন বাধা নেই আশরাফুলের। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) খেলতে উদগ্রীব। তবে আসরটি ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক বলে বিসিএলে আশরাফুলের খেলার ছাড়পত্র নিয়ে সন্দিহান বিসিবি। আইসিসি’র কাছে এ ব্যাপারে নির্দেশনা চেয়ে ই-মেইল করেছেন বিসিবি সিইও। তবে গতকাল বিসিএল ফ্রাঞ্চাইজি, নির্বাচকদের নিয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠকে আশরাফুল হতাশই হতে পারেন। আসন্ন বিসিএলের জন্য অংশগ্রহণকারী ৪টি দলের প্রতিটির জন্য ২৫ জন করে ক্রিকেটারের নাম জমা দিয়েছে নির্বাচকমÐলী, মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর নেতৃত্বাধীন সেই কমিটির প্লেয়ার্স লিস্টে নেই আশরাফুলের নাম। এ তথ্য দিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম।
আশরাফুলের বিসিএলে খেলার সম্ভাবনা এখন নির্ভর করছে কোচ হাতুরুসিংহে এবং ফ্রাঞ্চাইজিদের উপর, গতকাল তা জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানÑ ‘আশরাফুল এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০, অর্থাৎ বিপিএলে ২০১৮ পর খেলতে পারবে। দেশের বাইরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচও ২০১৮-এর পর খেলতে পারবে। বিসিএলে এনসিএলের সেরা পারফর্মাররা খেলে থাকে। সে হিসেবে আশরাফুলের বিসিএল খেলা ফ্রাঞ্চাইজি, কোচ এবং নির্বাচকদের উপর নির্ভর করছে। আশরাফুল দীর্ঘদিন খেলার মধ্যে ছিল না। এ ছাড়া ফিটনেসেরও ব্যাপার আছে।’
তবে আশরাফুলের ব্যাপারে ইতিবাচক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। গতকাল ক’টি বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাতকারে সে অবস্থানের কথাই জানিয়েছেন তিনিÑ ‘এটা নিয়ে কথা বলে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইছি ও দ্রæত ফিরুক।’ এদিকে বিসিএলে প্লেয়ার্স লিস্টে নাম নেই, তা জেনেও আশাবাদী আশরাফুলÑ ‘নির্বাচক নান্নু ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে, আকরাম ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনে খেলতে পারব বলে আশা করছি।’
এদিকে চতুর্থ আসরে এসে বিসিএলে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি যাচ্ছে বেড়ে। ২০১২-১৩ মওশুম থেকে প্রবর্তিত ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রথম শ্রেণীর আসর বিসিএলে ৪০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি এতোদিন ছিল অপরিবর্তিত। আসন্ন আসরে ম্যাচ ফি ৫০ হাজার টাকা উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছেন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন। গতকাল সভা শেষে সে তথ্যই দিয়েছেন তিনিÑ ‘২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিসিএল শুরু হবে। ম্যাচ ফি ৪০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।’ তবে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক আসরে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বহনের দায়িত্ব অংশগ্রহণভকারী দলসমূহের বলে তারা এই প্রস্তাবে রাজি নন বলে উপস্থিত এক ফ্রাঞ্চাাইজি প্রতিনিধি জানিয়েছেন। প্রাইজমানি বাড়ছে না, তাতেও অসন্তুষ্ট ফ্রাঞ্চাইজিরা। তবে ম্যাচ ফি বাড়–ক, কিংবা অপরিবর্তিত থাকুক, বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের পর বিসিএলেও ক্রিকেটাররা আসছে করের আওতায়! ম্যাচ ফি খাতে উপার্জিত অর্থে ভ্যাট এবং ট্যাক্স থেকে ২৫ শতাংশ দিতে হবে ক্রিকেটারদের!

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ