নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় হকির দলের বিদেশী কোচের খরচ চালাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ খবরে কিছুদিন আগে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। তারা খোঁজ শুরু করে ভালো মানের কোচের। এ তালিকায় হকি ফেডারেশনের প্রথম পছন্দ নেদারল্যান্ডসের কোচ জাইলস বনেটকে। তার সঙ্গে ই-মেইল চালাচালির পর তিন রাজী হন বাংলাদেশ হকি দলের কোচ হতে। সবকিছু ঠিকই ছিলো। কিন্তু ঈদুল ফিতরের আগে হঠাৎ করে গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা প্রেক্ষাপট পাল্টে দিলো। হকি ফেডারেশনের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলতে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও গুলশান হামলার পর মত পাল্টান জাইলস বনেট। শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসেননি তিনি। এরপর আশা নিয়ে ঢাকায় এসেও শেষ পর্যন্ত কোচ হতে পারেননি জার্মান গেরহার্ড পিটারও। হকি কর্তারা তাকে নিরাশ করেছেন। তবে বেলজিয়ামের কোচ মিশেল কিনানের মতো একজন অভিজ্ঞ কোচ পেতে চাইছেন লাল-সবুজ হকির কর্তারা।
বাংলাদেশ হকির সঙ্গে কাজ করেছেন অনেক বিদেশী কোচই। তবে তাদের মধ্যে অত্যাধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন মনে করা হয় বেলজিয়ামের মিশেল কিনানকেই। কিন্তু হকি ফেডারেশনের যথেষ্ঠ ইচ্ছে থাকা সত্তে¡ও এই ইউরোপিয়ানকে দীর্ঘমেয়াদে কিংবা স্বল্পমেয়াদে পাওয়া যায়নি। যদিও আন্তজাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) সহযোগিতায় তিনি দু’দফা বাংলাদেশে এসেছিলেন খÐকালীন কোচ হিসেবে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দুই বছরেই এসেছিলেন এক সপ্তাহের জন্য। আর এই ১৪ দিনেই হকি খেলোয়াড়রা বুঝতে পেরেছেন কিনান সত্যিকার অর্থেই অনেক উঁচুমানের কোচ। তার কোচিং পদ্ধতি মনে ধরেছে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদেরও। ফেডারেশনও অনেক চেষ্টা করেছে তাকে কোচ হিসেবে পেতে। কিন্তু আধুনিক এই কোচ সময় দিতে পারেননি। তার উপর মোটা অংকের বেতনও একটা বিষয় ছিল। তবে বিসিবি বিদেশী কোচের দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাসের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ফেডারেশন এখনও কোচ বিদেশী কোচকে মনোনীত করতে পারেনি। এদিকে ফেডারেশনের নতুন সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনির জাতীয় দলের জন্য স্বল্পমেয়াদে বিদেশী কোচ নিয়োগের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি জার্মানির আরেক কোচ অলিভারকেই প্রত্যাশা করছেন। এ বিষয়ে খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘আমরা সবাই একজন বিদেশী কোচ আনতে চেষ্টা করছি। মিশেল কিনানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইউরোপের আরও বেশ ক’জন কোচের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি। দেখি কাকে আনা যায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।