নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নয় ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মধ্যে জিতেছে পাঁচ ম্যাচ, হেরেছে চারটায়। গোটা আইপিএলটাই যেন এবার কলকাতার উত্থান-পতনের কাব্য। দলটি একটা ম্যাচ জেতে তো হেরে বসে পরেরটাতেই। দুটি ম্যাচ জিতলে হেরে বসে ঠিক ঠিক আরও দুটি। ফর্মের ধারাবাহিকতা একদমই নেই। গতবার যে আন্দ্রে রাসেল ছিলেন কলকাতার একমাত্র আশা-ভরসার প্রতীক, এবার সেই রাসেল তার ‘পেশি-প্রদর্শন’ এখনো সেভাবে করতে পারেননি। অধিনায়কত্ব নিয়েও একপ্রস্থ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। ফর্মের দোহাই দিয়ে নিয়মিত অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক দায়িত্ব ছেড়েছেন, এসেছেন এউইন মরগান। সুনীল নারাইনের বোলিং অ্যাকশন হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। সব মিলিয়ে কলকাতা শিবিরে অস্বস্তির এক গুমোট বাতাস বইছে যেন। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ও আইপিএলের ধারাভাষ্যকার ব্রায়ান লারারও মনে হয়েছে, কিছু একটা ঘটছে কলকাতায়।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে কলকাতাকে জিতিয়েছিলেন সুনীল নারাইন। এর পরেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন উঠলেও, দ্বিতীয়বার তার বোলিং নিয়ে সন্দেহের আঙ্গুল ওঠার আগ পর্যন্ত বোলিং করতে তার কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু কলকাতা সেই ঝুঁকিতে যায়নি। তার পর থেকেই নারাইনকে একাদশে রাখছে না কলকাতা। ফলও পেয়েছে সঙ্গে সঙ্গে। হেরে বসেছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে। কোনোরকমে গত সন্ধ্যায় সুপার ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিতলেও নারাইনকে কেন নেওয়া হচ্ছে না, বুঝতে পারছেন না লারা, ‘সুনীল নারাইন ওর বোলিং দিয়ে প্রতিপক্ষের রান আটকে সক্ষম হয়েছে, কলকাতাকে এবার দুটি ম্যাচ জিতিয়েছে। তাই ওর অ্যাকশনটা একটু শুধরালেই ঠিক হয়ে যাবে।’
টুর্নামেন্টের মাঝে কার্তিককে সরিয়ে মরগানকে অধিনায়ক করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই কিংবদন্তি, ‘কলকাতার সমস্যা কখনই অধিনায়কত্ব ছিল না। আমার মনে হয়, তারা নিজেদের ওপর অনেক চাপ নিয়ে নিচ্ছে। মাত্রই অধিনায়ক বদল হয়েছে ওদের, অর্থাৎ ওদের ভেতর ভেতর এমন একটা কিছু হচ্ছে, যা ঠিক নয়।’ স্বদেশি আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম নিয়েও হতাশ লারা। রাসেল ফর্মে না ফিরলে কলকাতার ফর্ম ফিরবে না বলেও মনে করছেন তিনি, ‘রাসেলকে রান পেতে হবে। যে কেউই দলের অধিনায়কত্ব করতে পারবে, তবে ওর রান পাওয়াটা জরুরি অনেক।’
রাসেল আসলেই হতাশ করছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। অধিনায়ক মরগান, সাবেক অধিনায়ক কার্তিক, শুভমন গিল, সুনীল নারাইন, লকি ফার্গুসন, প্যাট কামিন্স, শিভাম মাভি, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, নিতিশ রানা কিংবা রাহুল ত্রিপাঠি—প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ম্যাচে জ্বলে উঠলেও, রাসেলের ঝলক এখনো দেখেনি আইপিএলের এই সংস্করণ। যে আট ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন, সে আট ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ১১, ২৪, ১৩, ২, ৫, ১৬, ১২ ও ৯। প্লে-অফে উঠতে চাইলে এমন স্কোরগুলো আরও বড় হওয়া খুবই জরুরি!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।