নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিরাপত্তা শঙ্কায় ২০০৫ সালের পর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। কিন্তু কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসের সংকটময় সময়েও ইংলিশদের মাঠে খেলে ফিরেছে পাকিস্তান। এবার তাদেরকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি। ইংল্যান্ডের বোর্ডও সাড়া দিয়ে জানিয়েছে, পরিকল্পনা করছে তারা। এখনও কিছুই চ‚ড়ান্ত হয়নি। সবে আভাস মিলেছে। তাতেই ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য সফর নিয়ে রোমাঞ্চিত পাকিস্তানের তিন সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম, রশিদ লতিফ ও শহিদ আফ্রিদি।
আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে হতে পারে সিরিজটি। আর তা আলোর মুখ দেখলে পাকিস্তান ক্রিকেট অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন ওয়াসিম। পিসিবির মাধ্যমে গতপরশু সিরিজটির গুরুত্ব তুলে ধরেন দেশটির হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৯১৬ উইকেট নেওয়া পেস কিংবদন্তি, ‘পরের বছরের জানুয়ারিতে যদি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) হয়, আমি নিশ্চিত পাকিস্তানের হারানো গৌরব ফিরে পেতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে এটি এক বিশাল পদক্ষেপ হবে। সিরিজটি তরুণ ক্রিকেটারদের আকৃষ্ট করবে এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করবে ব্যাট-বল তুলে নিতে। যেমন আমি ও আমার প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এই খেলার প্রেমে পড়েছি ওই সময়ের গ্রেটদের দেখে।’
আর একধাপ এগিয়ে চিন্তাটা বিশদে নিয়ে ভাবছেন পাকিস্তানকে ৬ টেস্ট ও ২৫ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া রশিদ। অগ্রজ এই উইকেটরক্ষকের মতে, সিরিজটি হলে সামনে পাকিস্তান সফরে রাজি হবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোও, ‘ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর হবে দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ। পিসিবি কৃতিত্বের দাবিদার। কারণ মহামারীর মধ্যে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল, অনেকের কাছে যা ছিল অনর্থক। ইংল্যান্ডের এই সফর আমাদের ক্রিকেটের বড় উন্নতি করবে। ইংল্যান্ড সবসময়ই ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য শক্তির একটি দল, যাদের প্রভাব ও বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। ইংল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকার পাকিস্তান সফর হবে বিশেষ কিছু। এতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশগুলোও এখানে সফর অবশ্যই শুরু করবে।’
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরের ৬ বছর পাকিস্তানে হয়নি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে গত ১২ মাসে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সেখানে খেলে এসেছে টেস্ট। এর আগে গত কয়েক বছরে সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলেছে কয়েকটি দল। এ ছাড়া দেশটির মাটিতে হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) গত আসরে খেলেছেন ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার। বুমবুম তারকা আফ্রিদি মনে করেন, এখন বেশ নিরাপদ তার দেশ। তাই সিরিজটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী দেশটির সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার, ‘এটা দারুণ অগ্রগতি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানও নিরাপদ ও সুরক্ষিত একটি দেশ। গত এক বছর ধরে আমরা দেখছি, ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক দলগুলো এখানে সফর করছে। অবশ্যই বলতে হয়, ২০২০ সালের পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছে বিশ্বের নামিদামি অনেক ক্রিকেটার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।