Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাগারনো-কারাবাখে ফের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ, পরস্পরকে দোষারোপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪৪ পিএম

নাগারনো-কারাবাখ এলাকা নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র চার মিনিটের মাথাতেই ভেঙ্গে পড়েছে। যুদ্ধবিরতি ভাঙ্গার দায়ে, দুপক্ষই পরস্পরকে এখন দোষারোপ করছে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতা করা এই যুদ্ধবিরতিতে দু’ দেশই গত শনিবার সই করেছিল। স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সমঝোতা হয়েছিল। যুদ্ধবিরতি ভাঙ্গার জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র চার মিনিটের মাথায় আর্টিলারি শেল ও রকেট ছুড়ে তা লঙ্ঘন করে আজারবাইজান। পরে আজারবাইজান পাল্টা দোষারোপ করে বলে, আর্মেনিয়াই সন্ধি ভেঙ্গেছে।

এর আগে, গত সপ্তাহের শেষেও কয়েকটি চুক্তিতে সম্মতি আসার কারণে যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা হয়েছিল। তবে এর পরও সংঘর্ষ চলেছে। গত মাসে এমন একটি এলাকা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল যা আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃতি থাকলেও জাতিগত আর্মেনীয়রা এটি পরিচালনা করে। এই সংঘাতে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়। ওই এলাকায় ১৯৯৪ সালে একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ছয় বছরের সংঘাতের অবসান হওয়ার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতা।

এর আগে শনিবার দুই দেশই রুশ-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনে। এই বিবৃতির পর এমন সন্দেহ আরও স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টদের দেয়া বিবৃতির উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নাগারনো-কারাবাখ সংঘাতে মধ্যস্থতা করার জন্য ওই তিন দেশের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্না নাঘদালিয়ান এক টুইট বার্তায়ও একই বিবৃতি তুলে ধরে বলেন যে দেশটি যুদ্ধাঞ্চলে ‘যুদ্ধবিরতি এবং উত্তেজনা’ প্রশমনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যিনি এর আগের সপ্তাহে হওয়া চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন তিনি দুই দেশেরই পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি তাদেরকে বলেছেন যে দুই দেশেরই আগের চুক্তিটির শর্ত ‘কঠোরভাবে মেনে চলা’ উচিত।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুশান স্টিপানিয়ান টুইটারে লেখেন, ‘শত্রুপক্ষ স্থানীয় সময় শনিবার রাতে উত্তর দিকে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করে এবং দক্ষিণ দিকে রকেট নিক্ষেপ করে।’ আজারবাইজান অভিযোগ করে যে, আর্মেনিয়া শনিবার সকালে গানজা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে যাতে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়। গানজা শহরটি যুদ্ধাঞ্চল থেকে দূরে বলেও জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয় যে আর্মেনিয়া ‘স্বেচ্ছায় এবং নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে।’ আর্মেনিয়া হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগে বলেছে যে আজারবাইজানই মূলত বেসামরিক এলাকায় হামলা করছে।

মিজ স্টিপানিয়ান ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, নাগারনো-কারাবাখ এলাকায় ধ্বংস্তুপ দেখা যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী নাগারনো-কারাবাখের রাজধানী স্টিপানাকার্টসহ বেসামরিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আর্মেনিয়া-আজারবাইজান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ