Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিক্ষোভ দমনে পানি কামান ব্যবহার করেছে থাই পুলিশ

জরুরি অবস্থা উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

থাইল্যান্ডে টানা দ্বিতীয় দিন জরুরি অবস্থা অমান্য করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারবিরোধীরা। এদিন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান দিয়ে রাসায়নিক মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নেতাকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার ব্যাংককে জরুরি অবস্থার নির্দেশনা অমান্য করে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের প্রতিহত করতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল হেলমেট পরা দাঙ্গা পুলিশ। এদিন সেখানে অনেকটা হংকংয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ যন্ত্রণাদায়ক পানি ছুড়লেও ছাতা হাতে সেখানেই অনড় থাকেন অনেক বিক্ষোভকারী। তাত্তেপ রুয়াংপ্রাপাইকিতসিরি নামে বিক্ষোভকারীদের এক নেতা বলেন, স্বৈরাচারী এই সরকার জনতার আন্দোলন ঠেকাতে সহিংসতা ব্যবহার করছে। এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরে আরও ছয় বিক্ষোভকারীসহ গ্রেফতার করা হয় তাত্তেপকে। প্রায় তিন মাস ধরে সরকারের পতন ও রাজতন্ত্রের সংস্কারসহ বেশ কিছু দাবিতে বিক্ষোভ করছে থাইল্যান্ডের জনগণ। শান্তিপূর্ণ এ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত কঠোর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তবে গত কয়েকদিনে একাধিক নেতাসহ প্রায় অর্ধশত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভ সরাসরি সম্প্রচারের সময় গ্রেফতার হয়েছেন এক সাংবাদিকও। বিক্ষোভ ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে থাই সরকার। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, এই মুহ‚র্তে থাইল্যান্ডের এমন লোকজন দরকার যারা দেশ ও রাজতন্ত্রকে ভালোবাসে। ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছেন থাইল্যান্ডের বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এরপরই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। এতে বলা হয়, রাজার ক্ষমতা খর্ব করা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ তীব্র করে তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে এত বিশাল বিক্ষোভ দেখা যায়নি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পাল্টা তিনি ব্যাংককে জারি করেছেন জরুরি অবস্থা। শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা সেই জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে রাজধানী ব্যাংককের একটি ব্যস্ত ক্রসিং পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন। এতে যোগ দেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। পুলিশ এ সময় তাদেরকে লাঠিচার্জ করে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। উচ্চ চাপের পানি কামান দিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে। গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে। প্রধানমন্ত্রী সরকারকে জরুরি অবস্থার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রশাসনিক মুখপাত্র অনুচা বুরাপাছাইশ্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, জরুরি অবস্থার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিলেও সব কর্মকর্তাকে সহিংসতা পরিহার করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি, রয়টার্স, নিউ স্ট্রেইটস টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থাই-পুলিশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ