পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখনো গ্রেফতার হয়নি রায়হান হত্যা ঘটনার ঘাতকরা। হত্যার নেতৃত্বদানকারী এসআই আকবরসহ জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে অগ্নিগর্ভে পরিণত হচ্ছে সিলেট। এ ইস্যুতে দলমতের উর্ধ্বে উঠে একাট্টা সিলেটবাসী। লাশ উত্তোলনের ২য় দফা ময়নাতদন্তে গঠিত হয় ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। দাফনও করা হয়েছে পুনরায় রায়হানকে। গ্রেফতারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বরাবরে রায়হানের ২ মাসের শিশু কন্যা আলফা। নির্যাতন নির্মমতার চিত্র তুলে ধরেছে সে রাতের সিএনজি চালকও। ঘৃণিত ঘটনার দায়ে আইনজীবীরাও সোচ্চার। তারাও দাঁড়াবে না হত্যা নায়কদের পাশে। পলাতক এসআই আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে পত্র পাঠিয়েছে পিবিআই। এখনও অধরা এসআই আকবর। সেকারণে ক্ষোভে জমছে আমজনতার। গ্রেফতার না হওয়ায় সন্দেহ অবিশ^াসের ঢালপালা কেবল বিস্তৃত হচ্ছে।
কবর খুঁড়ে বের করা হলো রায়হানের লাশ : গতকাল সকাল ৯টার দিকে আখালিয়াস্থ এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েতের কবরস্থান থেকে রায়হানের লাশ তোলার কাজ শুরু করেন পিবিআই পুলিশের একটি দল। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয় লাশ উত্তোলনের। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সকাল ১১টা ১০ মিনিটে রায়হানের লাশ অ্যাম্বুল্যান্সে করে পুলিশি পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল হাসান, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান। কবরস্থানের পাশে থাকা একটি মার্কেটের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন নিহত রায়হানের মা ও তার পরিবারের সদস্যরা। সকাল ৯টার আগে রায়হানের পরিবারের সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় কবরস্থানের পাশে। লাশ গাড়িতে তোলার পূর্ব পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এ সময় শত শত বেদনার্ত মানুষ দু-পাশে দাড়িয়ে ছিল রাস্তার। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই রায়হানের লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক।
লাশ পুনঃ ময়নাতদন্তে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড : পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য গঠন করা হয় ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। গতকাল এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম এ বোর্ডের প্রধান। এছাড়া রয়েছেন প্রভাষক ডা. দেবেস পোদ্দার ও প্রভাষক ডা. আবদুল্লাহ আল হেলাল। এর আগে গতকাল সকালে রায়হানের প্রথম ময়নাতদন্তের ফরেনসিক প্রতিবেদন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে হস্তান্তর করে এসএমপি।
আঘাতের নির্মমতা হৃদয় ছুঁয়েছিল দুই পুলিশ সদস্যেরও : রায়হানের উপর আঘাতের নির্মমতায় অনুতপ্ত ছিল খোদ বন্দর বাজার পুলিশ সদস্যরা। সে কারণে হাসপাতালে নেয়া কালে সিএনজি চালকের কানে উঠে দুই পুলিশ সদস্যের বিবেকি দংশনের কথোপকথন। তারাও বলেছে, এমন নির্মমভাবে কেউ কাউকে মারে? স্যার আদেশ দিয়েছেন বলেই মারতে হলো। অটোরিকশা চালক বলেন, সেই রাতে এস আই আকবর ফাঁড়িতেই ছিলেন এবং তার নির্দেশেই রায়হানকে মারধর করা হয়। আকবর নিজের হাতেও নির্মমভাবে রায়হানকে নির্যাতন করেছেন বলে ওই অটোরিকশা চালক জানান। এভাবে রায়হান হত্যাকাÐের নির্মমতা তুলে ধরেছে সেই রাতের এক সিএনজি চালক। ওই চালক ও তার আরেক সঙ্গীর দু’টি সিএনজি অটোরিকশাতেই সেই রাতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দুটি পুলিশ টিম টহল দেয়। এর মধ্যে একটি অটোরিকশাতেই রায়হানকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই অটোরিকশা চালক বলেন, গত শনিবার দিবাগত রাতে সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকার একটি সুইপার কক্ষ থেকে রায়হানকে বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। এর আগে নগরীর মাশরাফিয়া রেস্টুরেন্টের সামনে অজ্ঞাত দুইজন লোক পুলিশকে এসে খবর দেয়, একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে কাষ্টঘরের গলিতে। সেই অটোরিকশা চালক জানান, পুলিশ গিয়ে একটি সুইপারের কক্ষ থেকে রায়হানকে ডেকে বের করে। তখন সেখানে কোনো ছিনতাই বা রায়হানকে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটতে দেখেননি অটোরিকশা চালক। ওই গলি থেকে রায়হানকে বের করে দ্বিতীয় (ওই চালকের সঙ্গীর) অটোরিকশাযোগে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। তখন রায়হান ছিলেন সুস্থ শরীরেই। এ সময় রায়হান পুলিশের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়ে বলেন- আমি কোনো ছিনতাইকারী বা অপরাধী নই। রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে নিয়ে যাওয়ার পর ফাঁড়ির বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন দুই অটোরিকশা চালক। পরে সকালে রায়হানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই দুই চালকের মধ্যে একজনের অটোরিকশাতে করে নিয়ে যায় ওসমানী হাসপাতালে পুলিশ। অটোরিকশা চালক জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর রায়হানের অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাকে দেয়া হয় অক্সিজেন। এর আগে ফাঁড়ি থেকে রায়হানকে বের করার সময় তার হাটুর নিচে ও হাতের আঙ্গুলে আঘাতের চিহ্ন দেখেন তিনি।
আল্টিমেটাম শেষ গ্রেফতার হয়নি এস আই আকবর : এস আই আকবরকে গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিভিন্ন সংগঠন। গত ১৩ অক্টোবর এক মানববন্ধন থেকে দেয়া হয়েছিল এ আল্টিমেটাম। কিন্তু লাপাত্তা এস আই আকবর। তথ্য প্রযুক্তির সব কানেকশন ধূলো দিয়ে পালিয়ে সে। দলমত নির্বিশেষে এক দাবি গ্রেফতার চাই, ফাঁসি চাই আকবরের। আওয়াজে আওয়াজে প্রকম্পিত হচ্ছে সিলেট।
গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান পূর্বে স্থানীয় কাউন্সিলর মখলেছুর রহমান পুনরায় হুশিয়ারী জানিয়ে বলেছে আকবরকে গ্রেফতার না করলে অচল করে দেয়া হবে সিলেট। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করা হবে। গ্রেফতার ও বিচার দাবি রাজনৈতিক মত পার্থক্যের উর্ধ্বে অবস্থান নিয়েছে সিলেটবাসী। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে বৃহত্তর আখালিয়া (বার হামছায়া) সংগ্রাম পরিষদ করেছে এক বৈঠকের আয়োজন। সেখানেই নির্ধারণ হবে আন্দোলন সংগ্রামের ভাগ্য।
এদিকে এসআই আকবরসহ জড়িত সংশ্লিষ্টদের দ্রæত গ্রেফতার ও বিচারে দাবিতে রায়হানের এলাকাবাসীর পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেছেন, বিচার কেবল আকবরের নয়, তার আশ্রয় প্রশয়কারীদেরর বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে তাদের। নগরীর তালতলাস্থ রেজিষ্ট্রারি মাঠ থেকে মিছিলসহ স্মারকলিপি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আসেন বৃহত্তর আখালিয়া (বার হামছায়া) সংগ্রাম পরিষদ। পরে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ওই স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয় জেলা প্রশাসকের হাতে। সিলেট জেলা প্রসাশক কাজী এমদাদুল ইসলাম আশ্বস্থ করে বলেন, জড়িতদের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে আন্দোলন : রায়হানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সৃষ্ট বিচার দাবিতে ঝড় উঠছে দেশ-বিদেশে। গত বুধবার লন্ডনের আলতাফ আলী পার্কে প্রতিবাদী মানুষের সাথে এক মানববন্ধনে শরিক হন নিহত রায়হানের যুক্তরাজ্য প্রবাসী বোন রুবা আক্তার ও তার স্বামী মুফাজ্জল আলী। কোভিড-১৯ এর বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে শত শত মানুষের উপস্থিত ঘটে ভয়েস ফর জাস্টিস ইউকের ডাকে এ মানববন্ধনে। এ সময় ভাইয়ের ছবি বুকে নিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন বোন রুবা। কমিউনিটির প্রবীণ নেতা ও সংগঠনের সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে দাবি জানানো হয় ঘটনার হোতা এসআই আকবরসহ জড়িতে দ্রæত গ্রেফতার ও বিচারের। এদিকে গতকালও সিলেটে বিভিন্ন সংগঠন রায়হান হত্যা ঘটনার বিচার চেয়ে মানবন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এছাড়া রায়হান হত্যার হোতাদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে মহানগর যুবলীগ।
অপরদিকে, রায়হান হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট মহানগর জমিয়ত। সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ধর্ষণ, গুম ও খুনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন গতকাল সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এছাড়া আজ শুক্রবার বাদ জুমা’আ সিলেট নগরীতে মিছিল সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
পিতৃহত্যার বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করলো কন্যা আলফা : পিতৃহত্যার বিচার চেয়ে গতকাল জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে রায়হানের শিশু কন্যা আলফা। মাত্র আড়াই মাস বয়স তার। কিন্তু সে হারিয়েছে পুলিশি নির্মমতায় তার বাবাকে। বৃহস্পতিবার এসআই আকবরকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে সিলেট প্রশাসক বরাবরে। সে স্মারকলিপি প্রদানে শরিক হয়েছিলেন রায়হানের একমাত্র কন্যা রাহনুমা আক্তার আলফাও।
দাদু সালমা বেগমের কোলে চড়ে এসেছিল সে। সময়ের প্রতিবাদী ঘটনার ইতিহাস এখন আলিফা। অপলক চোখে কেবল তাকিয়েছিল সে। মায়াবী চেয়ারা নজর কেড়েছে উপস্থিত সকলের। বুঝে না সে কী হচ্ছে, কী হয়েছে। কিন্তু যখন বুঝবে, তখন বুকে ধারণ করবে তার বাবা হত্যার নির্মমতা। ঘৃণা, ধিক্কারে ছেয়ে যাবে তার নিজস্ব দুনিয়া। বাবাকে সে পাবে না, কিন্তু বাবার অভাবে তার চোখে ভাসবে হায়েনাদের আনাগোনা। সে হায়েনাদের সুষ্ঠু বিচার হলে, আস্থা, নির্ভরতায় কিছুটাও হলে সান্তনা পাবে সে।
ঘাতকদের পাশে দাড়াবে না সিলেটের আইনজীবীরা : রায়হান হত্যা ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের পাশে দাড়াবে না সিলেটের আইনজীবীরা। অনানুষ্ঠানিকভাবে একমত তারা। ঘৃণিত ও বেআইনী এ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ মানসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন আইনজীবীরা। তারা জেলা বার সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ আহমদ বলেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ঘটনাকারীদের পাশে ছিলেন না কোন আইনজীবী। এবারও রায়হান হত্যায় জড়িতদের পাশে থাকবেন না তারা। এটা ঘৃণিত কাজের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ আইনজীবীদের।
আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে পত্র পিবিআইয়ের : বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনর্চাজ (সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভ‚ঁইয়াকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে তিনি যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন সেজন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে পিবিআই। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে অবস্থিত পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, সমগ্র ইমিগ্রেশনে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আকবর যেন কোনোমতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে না যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।