নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আনরিক নরকিয়া আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির কাছাকাছি বল করছেন। এবার আইপিএলে সবচেয়ে গতিময় বল ছিল তার। বুধবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে কাবু করতে গতি নিয়ে গেলেন ১৫৬ ছাড়িয়ে। ম্যাচ শেষে জানালেন, এত গতি তুলছেন, সেটা নিজেও টের পাননি।
গতপরশু দুবাইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস করেছিল ১৬১ রান। জবাব দিতে নেমে জস বাটলার আর বেন স্টোকস এনে দেন ঝড়ো শুরু। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটে সহজ জেতার সম্ভাবনাই বাড়ছিল রাজস্থানের। কিন্তু নরকিয়ার গতির কাছে থেমেছে বাটলারের তাÐব। তার ৯ বলে ২২ রানের ইনিংস শেষ হয় নরকিয়ার ১৫৫ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারিতে। বাটলার কিছু বুঝে উঠার আগেই স্টাম্প ছত্রখান হয়ে যায়।
তার আগেই অবশ্য নরকিয়া ছাড়িয়ে যান নিজেকে। স্পিড মিটারে গতি তুলেন ১৫৬.২২ কিলোমিটার। মাইলের হিসেবে যা ৯৭ মাইল ছাড়িয়ে যায়। গতিময় ওই বলটি অবশ্য বাউন্ডারি মেরে দিয়েছিলেন বাটলার। এবার আইপিএলে সবচেয়ে গতিময় চারটি ডেলিভারিই এসেছে নরকিয়ার কাছ থেকে। পরে ১৫০ কিলোমিটার গতির আরেক বলে উপড়ে ফেলেন রবিন উত্থাপার স্টাম্পও। ম্যাচ শেষে নরকিয়া জানান, এত গতিতে বল করছেন টের পাননি নিজেও, ‘১৫৬ কিলোমিটার গতিতে বল করেছি, এটা জানতাম না, জেনে খুব ভাল লাগলো। আসলে আজ (পরশু) খুব ফুরফুরে লাগছিল। জিততে পেরে তাই দারুণ লাগছে। শুরুর দিকে জস বাটলার অসাধারণ খেলছিল। ফুল লেংথে বেশি বল করে ফেলেছিলাম, যাতে কিছু রান বেরিয়ে যায়। পরে ভাবলাম নিজের শক্তির জায়গায় সোজা স্টাম্পে রাখি।’
শুধু নরকিয়াই নয়, গোটা ম্যাচেই দেখা গেছে গতির প্রদর্শনী। নরকিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা ও দিল্লি সতীর্থ কাগিসো রাবাদা স্পর্শ করেছেন ১৫০ কিলোমিটার। রাজস্থানের জফ্রা আর্চার তো ১৫০ কিলোমিটার ছুঁয়েছেন নিয়মিতই। শেষ তিন ওভারে ২৯ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। নাগালের মধ্য থাকলেও তা নিতে পারেনি স্টিভেন স্মিথের দল। এজন্য শেষ দিকে রাজস্থানের জেতার আশা মিইয়ে দেওয়া দুই বোলিং সঙ্গীর প্রতিও দিলেন বাহবা, দিল্লিতে বোলিং কোচ হিসেবে থাকা রায়ান হ্যারিসের প্রশংসাও করেন নরকিয়া, ‘রায়ানের মতো ভাল কোচ আমরা পেয়েছি। কেজির (কাগিসো রাবাদা) সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগছে। তুষার (দেশপাÐে) নেটে বেশ ভাল করছিল। দলের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাল।’
নরকিয়া এবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকসের বদলী হিসেবে। সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন তিনি দারুণভাবে। ৮ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১০টি। পরিসংখ্যানে পুরোটা বোঝা যাচ্ছে না তার প্রভাব। গতিময় ও আগ্রাসী বোলিংয়ে তিনি নিয়েছেন গুরুত্বপ‚র্ণ সব উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।