পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাসে প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঋণ বিতরণ না করায় সরকারি খাতের সাত ব্যাংককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়। ব্যাংক সাতটি হলো সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
চিঠিতে সাত ব্যাংকের এমডিকে বলা হয়েছে, এটা স্কিম বাস্তবায়নে আপনাদের গাফিলতি মর্মে পরিলক্ষিত হয়। এ জন্য সাত দিনের মধ্যে ঋণ বিতরণ না করার কারণ ব্যাখ্যা ও ঋণ বিতরণে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সক্ষম করা এবং তাঁদের আয়বর্ধক কর্মকাÐ সচল রাখার লক্ষ্যে এ স্কিম সরকারেরও একটি প্রাধিকারভুক্ত স্কিম। স্কিম গঠনের পর ইতিমধ্যে ছয় মাস সময় অতিবাহিত হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য হারে ঋণ বিতরণে সক্ষম হলেও সরকারি সাত ব্যাংক কোনো ঋণ বিতরণ করেনি।
জানা গেছে, এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সোনালী ব্যাংক ১২৫ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ৪০ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ১ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৫ কোটি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ৪৫ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।