নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন অস্ত্র-মাদক ও চাঁদাবাজিসহ আরও তিন মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার পরবর্তী দিন আগামী ১২ নভেম্বর ধার্য করেন আদালত। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের এজলাসে নূর হোসেনের উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এসময় কাঠগাড়ায় আরো উপস্থিত ছিলেন আসামি মো.আলি, জামাল ও সেলিম । এছাড়াও নূর হোসেনের বড় ভাই নূর উদ্দিন, ভাতিজা শাহজালাল বাদলসহ জামিনে থাকা অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এড. (এপিপি) জেসমিন আহমেদ বলেন, সকাল ১১ টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় আদালত পাড়ায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তিনি আরো জানান, এদিন আদালতে ২০১৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির একটি ও অস্ত্র ২ টি মামলায় নূর হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ব্রাঞ্চ সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার জানিয়েছেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আগামী ১২ নভেম্বর। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল ১১ টার দিকে নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে পুনরায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এরপর থেকে নূর হোসেন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।