পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফের ক্ষুদ্র আকারের প্রাচীন কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন শরীফ বলে দাবি করা হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় এটি সংরক্ষিত আছে নগরীর তালপুকুর এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী জামিল আহমেদ খন্দকারের কাছে।
কোরআন শরীফটির দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি, প্রস্থ এক ইঞ্চি ও পুরো এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। ছাপার অক্ষরের কোরআন শরীফটি খালি চোখে পড়া কঠিন। এটি আতশি কাচের নিচে রেখে পড়া যায়। সেকালের জন্য এটি ক্ষুদ্র আকারের হলেও মুদ্রণ শিল্পের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এরচেয়ে আরও ছোট আকারের কোরআন শরীফ পাওয়া যায়। যা অনেকে গলায় মাদুলির মতো ব্যবহার করেন।
জামিল আহমেদ খন্দকার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তার পূর্ব পুরুষরা ইয়েমেন থেকে এদেশে আসেন। তারা কোরআন শরীফটি এনেছেন বলে ধারণা করছি। বংশ পরম্পরায় তার হাতে রয়েছে। তার ২১ বছর বয়সে বাবা আবদুল মতিন খন্দকার মারা যান। তাই তিনি কোরআন শরীফটি সম্পর্কে জানতে পারেননি। অনেক দিন এটা কোথায় ছিল তা তিনি জানতেন না। স¤প্রতি আলমারিতে এটির খোঁজ পান। ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কোরআন শরীফটি ৩০০ বছরের আগের হতে পারে। এটি দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাচীন কোরআন শরীফ বলে ধারণা করছি। তবে হস্তবিদরা এটির বয়স সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন।
ইসলামী ইতিহাস গবেষক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র আকারের কোরআন শরীফ ছাপা বা লেখা হতো না। এগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।