পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পণ্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। কিন্তু সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে আলু। দোকানীরা বলছেন এবার বাজারে ইতিহাস গড়েছে আলুর মূল্য। খুচরা বাজারে আলু এখন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। অথচ এই আলুর মূল্য ২০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলুর এই দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের উৎপাদিত পণ্যটির দাম স্বাধীনতার আগে তো নয়ই, স্বাধীনতার পরও এত বাড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মৌসুমে আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। তাই হিমাগারে রাখা হয়েছে তুলনামূলক কম। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আলু এখন হিমাগারে। সুতারাং দামও নিয়ন্ত্রণ করেন হিমাগারের মালিকরা। তাছাড়া মৌসুমেই অনেক আলু সংরক্ষণের অভাবে নস্ট হয়ে গেছে। তবে হিমাগারের মালিকরা বলছেন, তাদের কাছে থাকা আলুর মালিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ভাড়ার বিনিময়ে তারা শুধু আলু সংরক্ষণ করেন। এবার আলু উৎপাদনও কম হয়েছে, ফলে মৌসুম শেষ হওয়ায় দামও বাড়িয়েছেন তারা। এ ছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাম বাড়াচ্ছে বলে হিমাগার মালিকদের দাবি।
হিমাগারের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, গত রোববার-সোমবার হিমাগার থেকে আলু বিক্রি হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে। আড়ত পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। আলুর এমন দাম আর কখনো হয়নি জানিয়ে হিমাগার মালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, চলতি বছর (মার্চে সমাপ্ত মৌসুম) আলুর উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কম হয়েছে। ফলে অনেক ব্যবসায়ীর ধারণা, আলুর দাম আরো বাড়বে। তাই অনেকে হিমাগার থেকে আলু তুলছেন না। এ ছাড়া আলুর দাম এখন নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
মৌসুম শুরুর পর বাজারে আলু সাধারণত ২০ টাকা কেজির মধ্যে থাকে। শীতের আগে যখন মজুদ শেষের দিকে থাকে, তখন প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এবার প্রবণতা ভিন্ন। গত মার্চে যে আলু হিমাগারে ঢুকেছিল, ৬ মাস পেরোতেই সেটা কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় উঠে গেছে। নতুন মৌসুমের আলু পুরোদমে বাজারে আসতে আরো কয়েক মাস বাকি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।