মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সারা বছর হাজারটা রং নিয়ে কাজ করেন সুইডিশ ফ্রিলান্সার নিকলাস এলমেহেদ। ছবি আঁকেন। ছবি তোলেনও। কিন্তু অক্টোবর মানেই তার কাছে ‘চ্যালেঞ্জ’। নোবেলের মাস মানেই— সব ফেলে সাদা-কালো কিংবা বড় জোর নীল-হলুদ রং আর সোনালি রাংতা নিয়ে মেতে ওঠেন শিল্পী।
কার ছবি আঁকতে হবে জানেন না, তবু তৈরি থাকতেই হয় নোবেল কমিটির অফিশিয়াল পোট্রেট-আর্টিস্ট নিকলাসকে। ন’বছর ধরে এটাই তার অক্টোবর-রুটিন! নোবেল কমিটি শুধু নোবেলজয়ীদের তালিকাটা ধরিয়ে দেয়। বাকিটা নিকলাসের কামাল। পুরস্কারের মঞ্চে কমিটি নাম ঘোষণা করে, আর স্ক্রিনে এক-এক করে জীবন্ত হয়ে ওঠেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিয়া মুরাদ কিংবা ২০২০-র পদার্থে নোবেলজয়ী স্যর রজার পেনরোজ়েরা!
অর্থনীতিতে নোবেল ঘোষণার মাধ্যমে এ বছরের মতো কাজ প্রায় শেষ! নিকলাস জানিয়েছেন, শিল্প নির্দেশক হিসেবে ২০১২ সালে নোবেল মিডিয়ায় যোগ দেন তিনি। সে বছরই প্রথম হাতে-আঁকা নোবেলজয়ীর ছবি প্রকাশিত হয়। সে বার আইডিয়াটা ছিল—যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের ছবি আঁকবেন নিকলাস। দু’বছরের মাথায় নোবেল মিডিয়ার চাকরিটা ছেড়ে দিলেন শিল্পী। কিন্তু নোবেল মিডিয়া ছাড়ল না তাকে। প্রথম বছরেই ঠিক হয়ে যায়— সব নোবেলজয়ীর ছবিই এক রকম হতে হবে।
তখন তিরিশ বছর বয়সী নিকলাসের বয়স এখন তেতাল্লিশ। নোবেলজয়ীদের ‘একই ছাঁচে ঢালা’ ছবি দেখে এখনও অনেকে সফ্টওয়্যারের কারিকুরি ভাবেন। কোথাও ‘ইলাস্ট্রেটর’ হিসেবে নাম ছাপা হলেও নিকলাস অন্তরালেই। বছর-বছর একই কাজ, একঘেয়ে লাগে না? স্মিত হেসে শিল্পী জবাব দিলেন, ‘বিজ্ঞানের নোবেলজয়ী মানেই তো বয়স্ক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধেরা! একটা সময়ে এরকমই মনে হত। এখন চ্যালেঞ্জই। অনেক সীমাবদ্ধতা, খাঁড়ার মতো ডেডলাইন, কারও ছবি থেকে মুখটাই বোঝা যায় না— তবু সেরাটাই দেয়ার চেষ্টা করি।’ ২০১৭-১৮ সালে নিকলাস নীল-হলুদে এঁকেছিলেন নোবেলজয়ীদের। গত বারের মতো এ বারও তার মাধ্যম সাদা-কালো। সঙ্গে ধাতব ফয়েল দিয়ে সোনালি রং ধরানো।তিনি বলেন, ‘হাত পাকানোর সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও এঁকেছি নীল-হলুদে। ভাল হয়নি। কিন্তু ওই ঋষির মতো চেহারা দেখলে এখনও আফসোস হয়— যদি একশো বছর আগে তুলি ধরতাম!’
এ বার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।’ মুঠোয় ভরা শস্য— লোগো এঁকেছেন নিকলাস। যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আঁকতে হত? তিনিও তো মনোনয়ন পেয়েছিলেন! হাসি চেপেই শিল্পী বললেন, ‘নো কমেন্টস।’ পরে জুড়লেন— ‘কেন! ট্রাম্পও তো বেশ ফোটোজেনিক। রাফ খাতায় এঁকেছি তো আগে।’ সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।