Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পঞ্চমবারের মতো তাজিক প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ইমোমালি রাখমন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪২ পিএম

মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন ইমোমালি রাখমন। রাশিয়ার মিত্র বলে পরিচিত এই তাজিক প্রেসিডেন্ট রবিবারের নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন। তার চার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী স্বীকার করেছেন, তারা খুব বেশি ভোট পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

অতীতের তুলনায় তাজিকিস্তানের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনেক বেশি আলোচনায় আসছে। বিশেষ করে সাবেক দুটি সোভিয়েত দেশ বেলারুশ ও কিরগিজস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে বিক্ষোভ শুরুর হওয়ার পর তাজিক নির্বাচনও মনোযোগ কাড়ছে।
১৯৯২ সাল থেকে ৯৫ লাখ জনগণের দেশটি পরিচালনা করছেন ৬৮ বছরের রাখমন। তার শাসনামলে একটি গৃহযুদ্ধও হয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি নিজের ক্ষমতা সুসংহত করেছেন এবং ২০১৬ সালে সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকার মেয়াদও বাড়িয়েছেন।
রবিবার লাউড স্পিকারে জাতীয় সংগীত বাজিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সময় ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখেছেন কর্মীরা। ভোটরাদের মাস্ক পরা রয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দুপুরের মধ্যেই ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
তাজিকিস্তান দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য এশিয়ার একটি স্থলবেষ্টিত প্রজাতন্ত্র। এর উত্তরে রয়েছে কিরগিজস্তান, উত্তরে ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন ও দক্ষিণে আফগানিস্তান। এখানকার রাজধানী দেশের বৃহত্তম শহর দুশানবে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হলো খুজন্দ। যেখানে অনেক বড় বড় আলেম ও ওলীদের জন্ম হয়েছে। আল্লামা রুমির (রহ.)-এর শায়েখ খাজা শামছুদ্দীন তিবরিজের আধ্যাত্মিক গুরু কামালুদ্দীন খুজন্দি (রহ.) এখানকার সন্তান বলে ধারণা করা হয়। একসময় উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের পুরো এলাকা একসঙ্গে ছিল। হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীতে মুসলমানরা এই অঞ্চল জয় করে নেয়। পরবর্তী সময়ে ১৮৬৮ সালে রুশ বাহিনী বুখারা আমিরাতকে পরাস্ত করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এর ফলে তাত্ত্বিক দর্শনের ভিত্তিতে প্রথম বাস্তব সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের সৃষ্টি হয় ১৯১৮ সালে। যার প্রতিবাদে বুখারার ইব্রাহিম বেগের নেতৃত্বে মুসলমানরা ১৯৩১ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যায়; কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১৯৩১ সালে তাজিকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি অংশে পরিণত হয়।
অবশেষে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মধ্য দিয়ে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ঠিক পর পরই দেশটিতে সাম্যবাদী সরকার ও ইসলামপন্থীবিরোধী দলগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৯৯৭ সালের জুন মাসে দুই পক্ষ একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। সূত্র : রয়টার্স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ