Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিলতে পারে শুক্রগ্রহে প্রাণের খোঁজ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

প্রায় ৩৮ মিলিয়ন কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। মহাকাশ জুড়ে এক বিরাট শূন্যস্থান। কেউ কল্পনাও করতে পারেন না যে, কখনও কোনও মহাজাগতিক সঙ্ঘর্ষে চাঁদ ও শুক্রের মধ্যে তাদের গ্রহাণুর আদান-প্রদান হতে পারে। তবে এমনই অসম্ভবের সম্ভব হওয়ার কথা বলছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যামুয়েল ক্যাবট ও গ্রেগরি লাফলিন। তাঁদের কথায়, কোনও না কোনও মহাজাগতিক সঙ্ঘর্ষের জেরে চাঁদের পৃষ্ঠতলে শুক্রের গ্রহাণু থাকতে পারে। যার উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে শুক্রে এলিয়েন থাকার প্রমাণ মিলতে পারে। সম্প্রতি, ক্যাবট ও লাফলিনের এক গবেষণাপত্র ‹লুনার এক্সপ্লোরেশন অ্যাজ এ প্রোব অফ এনসায়েন্ট ভেনাস› নামে একটি মহাকাশ বিজ্ঞানসংক্রান্ত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ক্যাবট ও লাফলিনের মতে, মহাজাগতিক নিয়মে কখনও না কখনও শুক্রের উপর কোনও ধ‚মকেতু এসে পড়ায় বা গ্রহাণুর সঙ্ঘর্ষে এর পৃষ্ঠতল থেকে ১০ বিলিয়নেরও বেশি পাথর বা মাটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে শুক্রের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গিয়ে এই ভাসমান অবশিষ্টাংশগুলি চাঁদে গিয়ে পড়ে। অর্থাৎ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জেরে শুক্রের গ্রহাণুগুলি চাঁদে পতিত হয়। এ ক্ষেত্রে এগুলি পৃথিবীতে এসে পড়তেও পারে। বিজ্ঞানীদের কথায়, যদি পৃথিবীর উপর এসে পড়ে, তা হলে তা বহুকাল আগেই মাটির নিচে চাপা পড়ে গিয়ে থাকবে। কিন্তু চাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা নয়। চাঁদে যদি কোনও গ্রহাণু পড়ে থাকে, তা হলে তা হয়তো এখনও অক্ষত থাকবে। তাই এই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের যুক্তি, দূর থেকে শুক্রকে নিয়ে গবেষণা করতে গেলে, চাঁদের উপর থাকা এ ধরনের মাটি ও নুড়ি-পাথর নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষাই অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। এ বিষয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে এই গ্রহ বর্তমানে বাসের অযোগ্য। তবে চিরকাল এ ভাবে না-ও থাকতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো এই গ্রহ বাসের যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। কারণ তথ্য বলছে আজ থেকে ৭০০ মিলিয়ন বছর আগে এখানেই জলভাগের অস্তিত্ব ছিল। প্রসঙ্গত, মহাকাশবিজ্ঞানীদের কাছে শুক্র ক্রমশ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সম্প্রতি এই গ্রহের পৃষ্ঠতলে ফসফিনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের কথায় ফসফিন সাধারণত কোনও অণুজীব বা ভূরাসায়নিক পদার্থের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর এখান থেকেই বিজ্ঞানীদের অনুমান এই গ্রহে কোথাও কোনও ভিনগ্রহীর অস্তিত্বও মিলতে পারে। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। সম্প্রতি নাসা-র তরফে এক ঘোষণায় প্রাইভেট স্পেস মিশন থেকে চাঁদের মাটি কেনার প্রসঙ্গ ও তা নিয়ে নানা গবেষণার কথা উঠে এসেছে। নাসা ছাড়াও অ্যামেরিকার স্পেস এক্স, চিনের অরিজিন স্পেসসহ নানা সংস্থা এ নিয়ে জোরকদমে পরিকল্পনা শুরু করেছে। সূত্র : নেচার, নিউজ সয়েন্টিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শুক্রগ্রহ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ