বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখেন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়ন শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে না। গ্রামেও পৌঁছে দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে। সভায় অংশ নেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। মন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনীতির শঙ্কার জায়গা থেকে বেরিয়ে গেছি। কোভিডের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ইকোনমিক হাব। সমুদ্রবন্দর গড গিফটেড। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালেই চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুর হতো। ঢাকার পাঁচটি নদী ও কর্ণফুলীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণ বন্ধে কাজ করছি আমরা। ঢাকার বাইরে এটি প্রথম সভা।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দৃষ্টিনন্দন শহর হবে। আউটার রিং রোড, কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করতে পারলে অসংখ্য পাঁচ তারকা হোটেল হবে। চট্টগ্রাম শুধু পর্যটন খাত দিয়ে পুরো দেশকে এগিয়ে নেবে। তবে অবকাঠামো যাতে আগামী দিনের দুর্ভাগ্য ডেকে না আনে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যাপারে আন্তরিক। তাই এত প্রকল্প ও টাকা দিয়েছেন। আরও দেবেন যদি কাজে লাগাতে পারি।
সিডিএ-চসিক-বন্দরের সমন্বয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের কোনো ঘাটতি থাকবে না। দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে। কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম বন্দরের জমি অবৈধ দখল ও দূষণের যেসব প্রক্রিয়া নিয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধ করা হচ্ছে, আগামী দিনে এসব যেন তারা না করে।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও অংশ নেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।