মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে আবারও আলোচনায় ধর্ষণ ও মামলা নিতে পুলিশের অনীহা। এবার ভারতের ছত্তিসগড়ে ৭ লম্পটের লালসার শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক নাবালিকা। এরপর ২ মাস ধরে তার পরিবার থানায় ঘুরপাক খেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। নিগৃহীতার বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করায় অবশেষে চাপে পড়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ জুলাই প্রতিবেশী গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল মেয়েটি। অভিযোগ, সেখান থেকেই তাকে জোর তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের জঙ্গলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে সাত জন। বাস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিল মেয়েটি। সেখান থেকেই তাকে জোর করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় দুই জন। সেখানে আসে আরও পাঁচ জন। এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।’ ধর্ষকরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় কাউকে কিছু বলতে পারেনি ওই কিশোরী। আইজি জানিয়েছেন, ‘ধর্ষকরা মেয়েটিকে আবারও বিয়েবাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গেলে নীরব থাকে নিগৃহীতা। বাবা-মা বিয়েবাড়িতে থেকে গেলেও তাদের কিছু না-জানিয়েই বাড়ি ফিরে আসে সে।’ এরপর সে ২০ জুলাই আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আইজি-র দাবি, স্থানীয় পুলিশ আত্মহত্যার তদন্ত করেছে এবং মেয়েটির চরম পদক্ষেপ করার কারণ তার পরিবারের জানা থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। সুন্দররাজের কথায়, ‘বহু দিন পর মেয়েটির এক বন্ধু মৃতার বাবা-মাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। তাকেই এই কথা জানিয়েছিল নাবালিকা। সব শুনে মর্মাহত হয়ে পরিবার বুঝতে পারছিল না যে, যেহেতু মেয়েটি মারা গিয়েছে, তাই আর মামলা করা যায় কি না। আইন সম্পর্কে না-জানায় তারা পুলিশের কাছে যায়নি। ২ মাস পর মেয়েটির বাবাও কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে কোনওক্রমে রক্ষা করা হয়।’
তবে পুলিশের শীর্ষ কর্তা এমন দাবি করলেও, কোন্ডাগাঁওয়ের একটি সূত্র বলছে, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে স্থানীয় পুলিশ মেয়েটির বাবাকে প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা তারা রাখেনি। শিশু অধিকার রক্ষার জাতীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন যশবন্ত জৈন কোন্ডাগাঁওয়ের পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছেন। মামলা না-নেয়ার জন্য স্থানীয় থানার ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সবিস্তার তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।