পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাট রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বেশি আসে গার্মেন্টস আর প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সে। বিদেশ থেকে যারা রেমিট্যান্স তাদের প্রায় এক চতুর্থাংশ থাকেন সউদী আরবে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা যেন সবকিছু ওলোটপালট করে দিয়েছে। অদৃশ্য ভাইরাসটির কারণে দেশে ফিরে এসে কর্মস্থলে ফিরতে নানামুখী ঝামেলায় পড়ছেন সউদীগামী প্রবাসীরা। নতুন করে যারা সউদীতে চাকরি পেয়েছেন তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার অনিশ্চয়তা আরও বেশি। করোনা মহামারিতে ছুটিতে আটকে পড়া প্রবাসীদের অনেকেই চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন। থার্ড ক্যারিয়ার চালু না হওয়ায় সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও বিমানের ফিরতি টিকিট এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। ফিরতি টিকিট রি-ইস্যু করতে সউদী গমনেচ্ছু প্রবাসীদের গলদঘর্ম। সউদীগামী ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত চল্লিশ বছরেও ফিরতি টিকিট নিয়ে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।
ফিরতি টিকিট জোগাতে না পারায় শত শত সউদী গমনেচ্ছু কর্মীর চোখেমুখে হতাশার ছাপ। না জানি কখন আবার সউদী যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এমন শঙ্কাও রয়েছে প্রবাসীদের মাঝে। যথাসময়ে সউদীর কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারলে দীর্ঘদিনের চাকরি এবং সার্ভিস বেনিফিটের সুবিধাদিও হাত ছাড়া হবে। এমন আশঙ্কায় চোখে ঘুম নেই অনেকের। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ঢাকায় সউদী আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর মিশনপ্রধানদের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সউদী আরব সরকার। তবুও কর্মস্থলে ফিরতে উন্মুখ প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে শঙ্কা, অনিশ্চয়তা কাটছে না।
জানতে চাইলে বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, করোনা মহামারির আগে নতুন ভিসার স্ট্যাম্পিং করা ৮৬ হাজার অপেক্ষমাণ সউদী গমনেচ্ছুকর্মীর মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এসব অপেক্ষমান কর্মীর ভিসা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াসম্পন্ন করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সউদীগমনে এসব কর্মীর প্রক্রিয়াদি সহজীকরণ করা না হলে শত শত কোটি টাকা গচ্চা যাবে।
গত দু’সপ্তাহ ফিরতি টিকিটের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় হাজার হাজার সউদীগামী বিক্ষোভ করছেন। গত রোববার থেকে ফিরতি টিকিট বিক্রিতে কিছুটা শৃঙ্খলা আসায় প্রবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দেশটিতে বিশ লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। আটকে পড়া প্রবাসীদের দ্রæত দেশটিতে পাঠাতে না পারলে বৃহৎ এ শ্রমবাজার হাত ছাড়া হবার আশঙ্কা রয়েছে। বায়রার একাধিক সূত্র এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভিসা, ছুটি ও ইকামার মেয়াদও অনেকেরই শেষ হয়ে গেছে। সউদী কফিলদের সাথে যোগাযোগ করে ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়াতে না পেরে অনেকেই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আর সউদী প্রবেশ করতে পারবে না এমন আশঙ্কায় বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে কেউ কেউ একটি ফিরতি টিকিট এক লাখ টাকা দিয়েও কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। আটকে পড়াদের অনুরোধে কিছু কিছু সউদী কফিল ভিসা ও ইকামার মেয়াদ ১৫ দিন থেকে এক মাস বাড়িয়ে দিয়ে বলেছে, তাড়াতাড়ি সউদী যেতে। ভিসা ও ইকামার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলেও তারা হুমকি দিচ্ছেন। একাধিক সউদীগামী এসব তথ্য জানান।
করোনা মহামারির কারণে নতুন ভিসা স্ট্যাম্পিং করা প্রায় ৮৬ হাজার কর্মীরও সউদী গমনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। করোনার কারণে এসব ভিসার মেয়াদ বাতিল হয়ে গেছে। ভিসা স্ট্যাম্পিং করাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এসব অপেক্ষমাণ অসহায় কর্মী প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে ধরণা দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না। আদৌ সউদী যেতে পারবেন কী না তা নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের। ধারদেনার ভারে তাদের সংসার চলছে না বললেই চলে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ঢাকায় সউদী আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর মিশনপ্রধানদের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নিয়োগকারী যদি তার কর্মীকে নিতে না চান সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। তিনি প্রবাসীদের তাদের নিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রী সচিবালয়ে জানান, সউদী আরব সরকার করোনার কারণে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আটকে পড়া প্রবাসীদের আকামা ও ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলেও ভিসা নিয়ে জটিলতায় পড়েন। অনেকের ভিসা নবায়ন না হওয়ায় বিমান টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ করেন। এ অবস্থায় সউদী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকেই ভিসা সংক্রান্ত সুখবর দেয়া হয়। তবে নতুন ভিসার স্ট্যাম্পিং করা ৮৬ হাজার শ্রমিকের ব্যপারে কোনো সুরাহার কথা জানা যায়নি। করোনা প্রাদুর্ভাবের সূচনাতে দেশে এসে আটকে পড়া শিক্ষার্থী এবং কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়া ফেরাতে গত মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং কিয়াং ওয়ারকে টেলিফোন করে এ বিষয়ে তার একান্ত সহযোগিতা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। দেশটির শ্রমবাজারের উপযুক্ত কর্মী তৈরিতে বাংলাদেশে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সিউলের প্রতি অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। জবাবে কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত ঢাকার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে তিনি ভিসা ইস্যুতে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
ভিসার মেয়াদ বাড়াতে ঢাকায় সউদী দূতাবাসের অনুমোদিত ৩২টি কনসালটেন্সি সেন্টারে মাধ্যমে আবেদনের জন্য যে ধরনের কাগজপত্র দরকার সেগুলো সউদী আরব থেকে সহজে মিলছে না। এর ফলে ঢাকায় ভিসাও নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। সউদী কফিলদের অনেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দেয়ায় হাজার হাজার আটকে পড়া প্রবাসীর সউদী গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে সউদীর সর্বোচ্চ শ্রমবাজার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সউদী ভিসা সেন্টার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আল তাইয়্যাবা কনসালটেন্সি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ গোলাম সরওয়ার গতকাল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশটিতে বিশ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি কঠোর পরিশ্রম করে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। আটকে পড়া প্রবাসীদের দ্রুত দেশটি পাঠাতে হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
ভিসা ছুটি ও ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়ায় অনেক সউদী কফিল আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের ফোনও ধরছেন না। কান্না জড়িত কণ্ঠে একাধিক ভুক্তভোগী ইনকিলাবকে এতথ্য জানান। তাদের দাবি ভিসা ও ইকামার মেয়াদ যাতে সউদী সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়িয়ে দেয় সে জন্য সরকারকে ভ্রাতৃপ্রতীম সউদীর সাথে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
বিএমইটির সূত্র জানায়, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে কাজ না থাকায় দেশে ফেরত আসা প্রবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ১ এপ্রিল থেকে গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৩ প্রবাসী খালি হাতে দেশে ফিরেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সউদীর রিয়াদের কতিপয় প্রতারক ট্রাভেলস এজেন্সি করোনার সুযোগে দেশে আটকে পড়া কর্মীদের ফিরতি টিকিটের টাকা তুলে নিয়েছে। প্রতারণার শিকার এসব অসহায় কর্মীর ফিরতি টিকিটের টাকা তুলে নেয়ায় তারা নতুন টিকিটের টাকা জোগার করতে না পেরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। করোনার মাঝে ৭-৮ মাস বসে বসে খেয়ে এমনিতেই প্রবাসীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এখন একটি নতুন টিকিট কিনতে ৭০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা কোথায় পাবে। একাধিক ভুক্তভোগী প্রবাসী কর্মী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত মাসের শেষের দিকে ফিরতি টিকিটের সহজলভ্যতা এবং ভিসা ইকামার মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে প্রবাসী কর্মীরা রাজপথে মিছিল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান করেছে। কেউ কেউ নিরূপায় হয়ে ধারদেনা করে বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে বিশ হাজার টাকার ফিরতি টিকিট এক লাখ টাকায় কিনে সউদী যাচ্ছে। বিমানের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে এসব ট্রাভেলস এজেন্সির মাঝে দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। একাধিক সউদীগামী প্রবাসী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এতে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছিল।
করোনার ধাক্কায় বিশ্বের অর্থনীতি হোঁচট খাওয়ায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীকে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। ফলে গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স কমেছিল। এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ধারণা করা হয়েছিল প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে। কিন্তু মে মাস থেকেই তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬০ কোটি ডলার, যা ছিল একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। তার আগে জুনে মাসে এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর আগস্ট মাসে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছে। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারা। দেশের জিডিপিতে তাদের পাঠানো এই রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে ৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কিন্তু গত বছরের এই ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এই রেমিট্যান্সে ভর করেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা তার আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।
থার্ড ক্যারিয়ার যোগে ছুটিতে দেশে আসা শত শত কর্মী সবচেয়ে বেশি হতাশায় ভুগছেন। কারণ উল্লেখিত থার্ড ক্যারিয়ার এখনো সউদী আরবে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায়নি। থার্ড ক্যারিয়ারের যাত্রীরা নিরূপায় হয়ে সাউদিয়া ও বিমানের অফিসে প্রতিদিন ধরণা দিয়েও সউদীগামী কোন টিকিট পাচ্ছে না। গ্রিস থেকে ছুটিতে আসা প্রায় সাড়ে চারশ’ প্রবাসী কর্মীও দেশটিতে যেতে পারছে না। বি-বাড়িয়ার গ্রিস প্রবাসী মো. ইব্রাহিম এ তথ্য জানান। আটকে পড়া এসব প্রবাসীর সবাই ওই দেশে নাগরিকত্ব পেয়েছে। তাদের অনেকেই কাতার এয়ারওয়েজ ও এমিরেটস এর নতুন টিকিট ক্রয় করেও দেশটিতে যেতে পারছে না।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রার) সাবেক সভাপতি গোলাম মুস্তাফা গতকাল বলেন, সউদীতে সুজলা-সুফলা পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশিদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে ফিরে যেতে পারছে না। যাদের নতুন ভিসা এসেছে তাদের এবং ছুটিতে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সউদী সরকারের কাছে মানবিক বিবেচনার দাবি জানাই। যাদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি এবং ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।