Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেল্পস বিস্ময় চলছেই

প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : কে বলবে বয়স তার ৩১! চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকে স্বদেশী তরুণ সাঁতারু রায়ান লোকচে’র কাছে মøান হয়েছিল ফেল্পসের পারফরমেন্স। ফেল্পসের জায়গাটা বুঝি নিয়ে নিচ্ছে লোকচে, এমন ভবিষ্যদ্বাণীই তখন করেছে সাঁতার বিশ্লেষকরা। অথচ, লোকচে নয়, চার বছর পর অন্য এক ফেল্পস হাজির রিও অলিম্পিকে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জিমন্যাস্ট লারসিয়া লাতিনিয়ার রেকর্ড ৯ স্বর্ণ জয়ের রেকর্ড টপকে ১৪ স্বর্ণে অন্য উচ্চতায় নিজেকে তুলেছেন যুক্তরাস্ট্রের সাঁতার বিস্ময় মাইকেল ফেল্পস লন্ডন অলিম্পিকে। এথেন্স অলিম্পিক ২০০৪ এ ৩টি এবং ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ৭টি বিশ্বরেকর্ডের মালিক লন্ডনে এসে জিতেছেন ৪ স্বর্ণ। রিও অলিম্পিকে লন্ডনের পারফরমেন্স ছাপিয়ে যাওয়ার হাতছানি এখন। ৪*১০০ মিটার, ৪*২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রীলের পর ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের স্বর্ণ জিতে জন্ম দিয়েছেন বিস্ময়ের। গত পরশু জিতলেন ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ইভেন্টেও স্বর্ণ! এথেন্স অলিম্পিক থেকে ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ইভেন্টে অলিম্পিকে তার প্রতিদ্ব›িদ্ব তিনিই। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়েও যেনো এথেন্স অলিম্পিকে ১৯ বছরের তরুণ ফেল্পস। পুলে ঝাঁপ দিয়ে ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ইভেন্টে পাত্তা দেননি কাউকে। ১ মিনিট ৫৪.৬৬ সেকেন্ডে পাড়ি দিয়েছেন ইভেন্টটি, যেখানে রৌপ্যজয়ী জাপানের প্রতিদ্ব›দ্বী কোসুকে হাগিনোর লেগেছে ১ মিনিট ৫৬.৬১ সেকেন্ড, ব্রোঞ্জ জয়ী চীনের ওয়ান সানের টাইমিং সেখানে ১ মিনিট ৫৭.০৫ সেকেন্ড। লন্ডনে যার আলোয় ¤øান ছিলেন, স্বদেশী সেই সাঁতারু লোকচে সেখানে এই ইভেন্টে হয়েছেন ৫ম।
পদকহীন যাত্রা দিয়ে ১৫ বছর বয়সে শুরু যার সিডনী অলিম্পিক, ১৬ বছরের মাথায় এসে অলিম্পিক থেকে তার পদক সংখ্যা এখন ২৬। যার মধ্যে ২২ টি স্বর্ণ। ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ইভেন্টে স্বর্ণ সাফল্যে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ১৫তম স্বর্ণ জয়ের মহাকৃতিত্বও দেখালেন এই মার্কিন সাঁতার বিস্ময়। লন্ডনে ৬ ইভেন্টে স্বর্ণ হারিয়েছিলেন ২টি, রিওতে এসে ৪ ইভেন্টের ৪টিতে স্বর্ণ জয়ে ৫ম ইভেন্ট থেকেও স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ফেল্পস। সাঁতার ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্ট ১০০ মিটার বাটার ফ্লাইয়েও ফেভারিট ফেল্পস। ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারলে ২০০৮ এ বেইজিং অলিম্পিকে শতভাগ সাফল্যের পুনরাবৃত্তিই করবেন সর্বকালের সেরা এই সাঁতারু।
২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ইভেন্টে অলিম্পিকে কখনো স্বর্ণ হাতছাড়া করেননি ফেল্পস। এই ইভেন্ট থেকে স্বর্ণ জয়ে তাই ফেলেছেন ফেল্পস স্বস্তির নিশ্বাসÑ ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আমি যেভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে পেরেছি। ফিরে এসে ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ইভেন্ট থেকে টানা চতুর্থ স্বর্ণপদক জিতেছি। এর ভাষা প্রকাশ করতে পারছি না। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে এই এক সপ্তাহে যা করেছি, তা বিশেষ কিছু।’ তবে ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা ফেলে এসেছেন। অলিম্পিকে সেরা সময়টা কাটিয়েছেন ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে। ওই আসর থেকে অর্জিত ৮টি স্বর্ণের মধ্যে ৭টিতেই করেছিলেন বিশ্বরেকর্ড। বোইজিংকে তাই ভুলতে পারছেন না ফেল্পসÑ ‘আমার কাছে সেরা ফর্মের কথা বললে ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের কথাই বলব।’ ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্টে স্বর্ণ জিতলে সেটাও যে হবে আর একটি সাফল্যগাঁথা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেল্পস বিস্ময় চলছেই

১৩ আগস্ট, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ