Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবারও উজ্জ্বল তাসকিন

ইমরুল-মাহুমুদউল্লাহর ব্যাটে রান

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

দুইদিনের আগের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বল করে নজর কেড়েছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই রূপে পাওয়া গেল তাকে। তার তোপের মাঝে ফিফটি পেয়েছেন ইমরুল কায়েস আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রান পেয়েছেন লিটন দাসও।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাট-বলের লড়াই হয় সমান তালে। গতকাল প্রথম দিনে ওটিস গিবসন একাদশ ৭২ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ২৪৮ রান করেছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইমরুল, মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। ৪৪ রান করে আউট হন লিটন দাস। রায়ান কুক একাদশের হয়ে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আবারও সেরা তাসকিন।
ব্যাট করতে নামা গিবসন একাদশকে শুরুতেই জোড়া আঘাত দেন তাসকিন। ওপেনার সাইফ হাসানকে নিজের বলে ক্যাচ বানানোর পর ছেঁটে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। এই বাঁহাতি তাসকিনের বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরেছে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল দল। ৮ চার, ১ ছক্কায় সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬০ রান করা ইমরুলকেও নিজের বলে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ বানান তাসকিন। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন এদিন থিতু হতে সময় নেন, পরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেও জুটি বাড়ছিল তার।
ফিফটি পেরুনো মাহমুদউল্লাহ অবশ্য মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের স্লােয়ার বুঝতে না পেরে তার হাতেই দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। মাহমুদউল্লাহর ফেরার পর কিছুটা আগ্রাসী মেজাজে দেখা দেন লিটন। আর সেটাই কাল হয় তার। আল-আমিন হোসেনের বলে পুল করে তুলে দেন সহজ ক্যাচ। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সৌম্য সরকার এদিন থিতু হয়েও উইকেট থেকে অকারণে বেরিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন তাইজুল ইসলামের স্পিনে। এদিনও শেষ বিকেলে বল করতে এসে ২ উইকেট নিয়েছেন অনিয়মিত স্পিনার মোহাম্মদ মিঠুন। রুবেল হোসেনকে নিয়ে দিনের বাকি সময় পার করছেন ২৯ রান নিয়ে খেলতে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
নিজেদের মধ্যে দুটি দুই দিনের ম্যাচ দিয়ে সাড়ে ৬ মাস পর ম্যাচের আবহে ফিরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এর আগে শুক্র ও শনিবার ছিল প্রথম ম্যাচ। এই তিন দিনে তুলনামূলক বিবেচনায় বোলারদের পারফরম্যান্সই ছিল ভালো। দুই ম্যাচে অসাধারণ বোলিং করেছেন তাসকিন। ইবাদত, হাসানদের বোলিংও ছিল বেশ ভালো। খারাপ করেননি সৈয়দ খালেদ আহমেদ, সাইফ উদ্দিনরা। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল হক। তবে ব্যাটসম্যানদের কয়েকজনকে ভুগতে দেখা যায় অনেক, থিতু হয়ে আউট হন বেশ কয়েকজন।
দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিন শেষে রানে ফেরা ইমরুল এজন্য কৃতিত্ব দিলেন বোলারদের, ‘সাধারণত যেটা হয়, এরকম একটা বিরতির পরে প্রত্যেক ক্রিকেটার প্রথম দুইটা ম্যাচে একটু ক্যাজুয়াল বা নার্ভাস থাকে ব্যাটিং-বোলিংয়ে। কিন্তু আমার মনে হয়, সবাই নিজের কাজটা যথাযথভাবে করেছে এই বিরতিতে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা বোলার শতভাগ এফোর্ট ও ছন্দে বোলিং করেছে। মনেই হয়নি যে আসলে তারা ক্রিকেটের বাইরে ছিল। প্রফেশনালি প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই সিরিয়াস হয়েছে, যেটা আমদের ক্রিকেটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করেছে উইকেটে থেকে রান করার। সহজে রান করতে পারেনি, বোলাররা সহজে রান করতে দেয়নি, কষ্ট করেই রান করতে হয়েছে।’
ইমরুল নিজে প্রথম ম্যাচে তাসকিনের বলে আউট হয়েছিলেন ৭ রানে। সোমবারও তিনি ফিরেছেন তাসকিনের বলে, তবে এ দিন করতে পেরেছেন ৬০ রান। যদিও ইনিংসটি বড় করতে পারেননি আরও, ইমরুল তবু খুশি নিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পারফরম্যান্সে, ‘প্রথম ম্যাচটিতে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়েছে, অনেক দিন পর ম্যাচ ছিল। তারপরও কয়েকজন ভালো খেলেছে। আমি যদিও ভালো করতে পারিনি। এই ম্যাচে অনেক ফোকাস ছিল, পরিকল্পনা মতো ব্যাটিং করতে পেয়েছি যেভাবে চেয়েছিলাম।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওটিস গিবসন একাদশ প্রথম ইনিংস : ৭২ ওভারে ২৪৮/৮ (সাইফ ৭, ইমরুল ৬০, শান্ত ২, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৪, সৌম্য ২৬, মোসাদ্দেক ২৯*, নাঈম ৮; তাসকিন ৩/৪৪ , সাইফুদ্দিন ১/৪১, খালেদ ০/৩১ , আল-আমিন ১/৩৬, তাইজুল ১/৭৬, মিঠুন ২/১০)। ১ম দিন শেষে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমরুল-মাহুমুদউল্লাহ

৬ অক্টোবর, ২০২০
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ