Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওসি প্রদীপসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে খারিজ করা মামলা পুনরায় গ্রহণ করতে রিভিশন আবেদন

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২৮ এএম

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাগারে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিন্ম আদালতে দায়েরকৃত খারিজ করা একটি মামলা পূণরায় গ্রহণ করতে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

টেকনাফের নাজিরপাড়ার মোঃ বেলালের স্ত্রী ছমিরা বেগম বাদী হয়ে ৪ অক্টোবর রোববার রিভিশন আবেদনটি দায়ের করেন। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রিভিশন আবেদনটি গ্রহন করে নিম্ম আদালতের নথি তলব করে পরবর্তী ধার্য দিনে এ বিষয়ে শুনানির আদেশ দিয়েছেন। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিভিশন আবেদন এর সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়-চলতি বছরের ২১মে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফের নাজিরপাড়া জামে মসজিদে রোজার তারাবী পড়াবস্থায় বাদীনীর স্বামী মোঃ বেলালকে বিনাকারণে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে বাদীনী টেকনাফ থানায় যোগাযোগ করলে টেকনাফ মডেল থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তাকে থানা কম্পাউন্ডের মাথিনের কূপের কাছে নিয়ে তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।

নতুবা ছমিরা বেগমের স্বামী মোঃ বেলালকে ক্রসফায়ারে মারার হুমকি দেয়। পরদিন বাদীনী নিরুপায় হয়ে কোনরকমে ২ লক্ষ টাকা যোগাড় করে এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই ফকরুজ্জামানকে প্রদান করে। চাঁদা গ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদ্বয় বাদীনীর কাছ থেকে আরো ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা দিতে না পারায় গত ২৩ মে মো: বেলালকে মাদক ও অস্ত্রের মামলা দিয়ে টেকনাফ মডেল থানা থেকে আদালতে চালান দেয়া হয়।

এবিষয়ে ছমিরা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, একই থানার এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই ফকরুজ্জামান, এএসআই মিঠুন চন্দ্র দাস, এএসআই রতন চন্দ্র দাস ও কনস্টেবল মোঃ মামুনকে আসামী করে গত ২৩ আগস্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ) এ দন্ডবিধি ৩৮৫/৩৮৬/৩৪ ধারায় একটি ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন বাদীনী ছমিরা বেগমের ২০০ ধারায় জবানবন্দী গ্রহন করার পর ফৌজদারী দরখাস্তটি সরাসরি ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন। খারিজ করা মামলাটির নম্বর সিআর : ১২১/২০২০ (টেকনাফ)।

বাদীনী ছমিরা বেগম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন যে খারিজ আদেশ দিয়েছেন, তা না দিয়ে ফৌজদারী দরখাস্তটি তদন্তের আদেশ দিতে পারতেন বলে অভিযোগ এনেছেন। ফৌজদারী দরখাস্তটিতে মামলার অনেক উপাদান থাকা সত্বেও দরখাস্তটি খারিজ আদেশ সঠিক ও যথার্থ হয়নি বলে অভিযোগ এনে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ১৯৯৮ এর ৪৩৫/৪৩৬ ধারায় রিভিশন আবেদনটি রোববার দায়ের করেন।

জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রিভিশন আবেদনটির গ্রহনযোগ্যতা শুনানী শেষে সেটি গ্রহন করে নিম্ম আদালতের নথি তলব পূর্বক পরবর্তী ধার্য দিনে এ বিষয়ে শুনানির আদেশ দিয়েছেন। যার ক্রিমিনাল রিভিশন নম্বর : ১৯২/২০২০।



 

Show all comments
  • habib ৫ অক্টোবর, ২০২০, ১০:১৬ এএম says : 0
    eto gulo khun korar poreo jodi eder bisar na hoy tahole eder hate bangladesh nirapod nai....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওসি প্রদীপ

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ