পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী গমনেচ্ছু প্রবাসী কর্মীদের ফিরতি টিকিট পেতে বিড়ম্বনা দিন দিন বাড়ছে। গত ১ অক্টোবর থেকে প্রতি সপ্তাহে সাউদিয়া ও বিমান সউদীতে বিশটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এতেও প্রবাসী কর্মীদের পরিবহনে সঙ্কট নিরসন হচ্ছে না। সউদীগামী প্রবাসী কর্মীরা ফিরতি টিকিট ও টোকেনের জন্য সাউদিয়া ও মতিঝিল বিমান অফিসের সামনে শনিবার রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল থেকেই টিকিট বিতরণের সিরিয়ালের টোকেন দেয়া শুরু করার কথা সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের। আগেভাগে টোকেন পাওয়া যাবে সেই আশায় সোনারগাঁও হোটেলের চারপাশে রাতে অবস্থান নেয় প্রবাসীরা। চিড়া-মুড়ি এবং কলা পাউরুটি খেয়ে রাত কাটায় তারা। মোশার কমড়ে একটুও ঘুমাতে পারেনি অপেক্ষমাণ প্রবাসীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের সামনে রাতেই এসেছেন বি-বাড়িয়ার বাইজিদ খান ও নেত্রকোণার মোফাজ্জাল হোসেন।
সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফিরতি টিকিট থাকলেও তারা এখনও রি-ইস্যু করতে পারেননি। তারা বলেন, ভিসার মেয়াদ বেশি দিন নেই। এখনও টিকিট নিতে পারেনি। যাদের ভিসার মেয়াদ কম তাদের আগে টিকিট দিলে অনেকেই সউদী ফিরে যেতে পারবেন।’ করোনার মধ্যে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন সউদী আরব ফিরতে। টিকিট পেতে প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। সাউদিয়া এয়ারলাইন্স জানিয়েছিল, যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তাদের গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টিকিটের জন্য টোকেন দেয়া হবে। টোকেন নিতে পাসপোর্ট, সউদী এয়ারলাইন্সের টিকিট, ভিসার কপিসহ আসতে হবে। তবে সকাল ৮টা থেকে টোকেন বিতরণের কথা থাকলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত টোকেন বিতরণ শুরু করতে পারেনি সউদী এয়ারলাইন্স।
এদিকে, সউদী কফিলদের অনেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দেয়ায় প্রায় ৫০ হাজার আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীর সউদী গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে সউদীর সর্বোচ্চ শ্রমবাজার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সউদী কফিলদের সহযোগিতার অভাবে ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসের অনুমোদিত ৩২টি কনসালটেন্সি সেন্টারও প্রবাসী কর্মীদের ভিসার আবেদন দূতাবাসে জমা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। সউদী ভিসা সেন্টার মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও আল তাইয়্যাবা কনসালটেন্সি সেন্টারের স্বত্বাধীকারী সৈয়দ গোলাম সরওয়ার গতকাল রোববার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশটিতে বিশ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের দ্রুত দেশটি পাঠাতে হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপক ক‚টনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
গত ১০/১২ দিন যাবত হাজার হাজার সউদী প্রবাসী কর্মী স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদানের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। সাউদিয়া ও বিমানের ফিরতি টিকিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রী সউদী যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গতকাল মতিঝিলস্থ বিমান অফিসের সামনে টিকিটের জন্য অপেক্ষমাণ আটকে পড়া প্রবাসীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, ভিসা ও ইকামার মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়াভাবে না বাড়লে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়ে পথে বসবে। অনেকেই ১০/১৫ বছর যাবত সউদীতে চাকরি করেন। দেশটিতে যেতে না পারলে তাদের সার্ভিস বেনিফিটের লাখ লাখ টাকা হাত ছাড়া হবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানরত সউদী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইকামার মেয়াদ চলতি আরবি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ আরও ২৪ দিন পর্যন্ত বৈধ থাকবে। তবে এ ধরনের কোনও ঘোষণা সউদী সরকার গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেয়নি। ইকামা আর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা সউদীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত তারা এমন কিছু বলেনি। তাই প্রবাসীদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। বেশিরভাগ কর্মীর ভিসা ও ইকামার মেয়াদ গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। বি-বাড়িয়ার সউদী প্রবাসী আলাউদ্দিন জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সউদী কফিলের মোবাইলে দফায় দফায় ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরছেন না। কফিলের অসহযোগিতার কারণে সউদী যাওয়া সম্ভব না হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।