মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সুনিপূন আঘাতে আর্মেনিয়ার সেনাশক্তির চূড়ান্ত পতন নিশ্চিত করতে ব্যাপক পরিসরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আজারবাইজানের লড়াকু সেনাবাহিনী। ভারি সমরাস্ত্র, ট্যাঙ্ক আর মর্টারে সুসজ্জিত আজেরি বাহিনীর এই প্রলঙ্করী হামলায় কেঁপে ওঠে কারাবাখের দুর্গ। সর্বশক্তি দিয়েও সেই আঘাত প্রতিহত করতে ব্যর্থ আর্মেনিয়া সেনাবাহিনী। একের পর এক অস্ত্রের মজুদ ফুরিয়ে আসছে তাদের। মৃত্যুর আগ্রাসি তাণ্ডবে বিধ্বস্ত গোটা কারাবাখ। সীমান্তজুড়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সহস্রাধিক সেনার লাশ।
গতকাল শনিবার কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আল জাজিরার বিশ্লেষণে, আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার মাঝে চলমান যুদ্ধের সপ্তম দিনে এমনটাই ছিল সর্বশেষ দৃশ্য। এখনও চলছে তুমুল যুদ্ধ। ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে আজারবাইজান। ধ্বংস করেছে আর্মেনিয়ান সেনাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সামগ্রী। আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শত্রুপক্ষের কত অস্ত্র ধ্বংস করেছে তার তালিকা প্রকাশ করেছে। শুক্রবার বিপুল বিক্রমে পারমানবিক হামলার হুমকি দিয়ে পাল্টা আজেরি সেনাদের দুর্বার আক্রমনের মুখে রীতিমত কোনঠাসা এখন আর্মেনীয়রা।
আজারবাইজানের বড় সাফল্য বলে মন করছে আর্মেনিয়ান সেনাদের বিপুল পরিমান ট্যাংক আর অস্ত্র গুদাম উড়িয়ে দেওয়া। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি মতে, এখন পর্যন্ত তারা অন্যান্য সাঁজোয়া যানসহ অন্তত ২৩০টি ট্যাংক ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও আর্মেনিয়ান বাহিনীর ২৫০টি আর্টিলারি, রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও মর্টার ধ্বংস করতে পেরেছে আজারবাইজানের যোদ্ধারা। শত্রুপক্ষের ৩৮টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ১০টি কমান্ড কন্ট্রোল অবজারবেশন ভেন্যু গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান।
আর্মেনিয়ার ৭টি অস্ত্রভাণ্ডারসহ আজেরি বাহিনী একটি এস-৩০০ এন্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেম এবং অন্তত ১৩০ টি সেনা গাড়ি ধ্বংসের খবর প্রকাশ করেছে আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান সত্ত্বেও তাতে সাড়া না দিয়ে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অব্যাহত রাখে আর্মেনিয়া। সীমান্তবর্তী বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের অধিকারীত্ব অর্জন নিয়ে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের মোট দেড় শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।