মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, চরমপন্থার কারণে বিশ্ব জুড়ে ইসলাম সংকটে পড়েছে। তিনি জানান, ধর্ম নিয়ে ১৯০৫ সালের একটি আইনকে শক্তিশালী করতে ডিসেম্বরে বিল আনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ফ্রান্সে মৌলবাদ দ‚র করা হবে এবং সবাই যাতে একত্র বাস করতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কারণ ধর্মনিরপেক্ষতাই ফ্রান্সের ভিত্তি। তিনি সব মুসলিমকে চরমপন্থার জন্য দায়ী করেন না বলেও উল্লেখ করেন। ফ্রান্সে ইতিমধ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে ইসলামের প্রতি আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বব্যাপী। দেশটির মুসলিম মানবাধিকারকর্মী ইয়াসের লৌয়াতি বলেন, মুসলিমদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এখন সেটা করতে অঙ্গীকার করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট মুসলিমবিরোধী বামপন্থিদের উসকানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন লৌয়াতি। এছাড়া অন্যান্য ধর্মের মানুষও প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন বলে আল-জাজিরা খবর দিয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়,কথিত ‘ইসলামপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদের’ বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এ জন্য তিনি আইন কঠোর করার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ ম‚ল্যবোধকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। এর অধীনে পড়বে বিভিন্ন স্কুল ও মসজিদ। যেসব স্কুল ও মসজিদ বিদেশি সহায়তা পায় তাদের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানো হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়, ফ্রান্সে বসবাস করেন প্রায় ৬০ লাখ মুসলিম। তারা একটি ‘কাউন্টার-সোসাইটি’ গঠনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এসব মুসলিমদের মধ্যে উগ্রপন্থি ইসলামকে নিরাপত্তার জন্য ভীতিকর মনে করা হয় সেখানে। এ বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য প্রচন্ড চাপে ছিলেন ম্যাখোঁ। তিনি যে নীতি ঘোষণা করেছেন, তার নিন্দা জানিয়েছেন বেশ কিছু মুসলিম অধিকারকর্মী। তাদের অভিযোগ, ফ্রান্সে ইসলামকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ফ্রান্সে কঠোর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির অধীনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আইন দ্বারা সরকারকে আলাদা করা হয়েছে। সেখানকার আইনে বিভিন্ন ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসের সমান অধিকার রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে এই দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাস করেন। সেখানকার বহু মুসলিম অভিযোগ করেছেন, তাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে টার্গেট করতে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। তারা হিজাব নিষিদ্ধ করেছে। শুক্রবার প্যারিসের বাইরে বক্তব্য রাখেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, ‘উগ্রপন্থি ইসলাম’ ফ্রান্সের জন্য বিপজ্জনক। কারণ, সবকিছুর ঊর্ধ্বে উগ্রপন্থি ইসলামে আইন প্রয়োগ করা হয়। কখনো কখনো তা একটি ‘কাউন্টার-সোসাইটি’ সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, এমন বিচ্ছিন্নতাবাদ অনেক সময় শিশুদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। তাদেরকে স্কুল থেকে বাইরে রাখা হয়। স্পোর্টস থেকে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও অন্যান্য কর্মকান্ড থেকে তাদেরকে আলাদা রাখা হয়। যা প্রজাতন্ত্রের আইনের সঙ্গে যায় না। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ যে পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন তাতে একটি প্রস্তাব তৈরি করা হবে। এটা এ বছর শেষ হওয়ার আগেই সেখানকার পার্লামেন্টে তোলা হবে। এর মধ্যে থাকবে- স্পোর্টস আয়োজক ও অন্যান্য সংগঠনের ওপর কড়া নজরদারি। যাতে তারা ইসলামপন্থি শিক্ষার কোনো ফ্রন্ট না হয়ে ওঠে। বিদেশ থেকে ফ্রান্সে ইমাম নেয়ার সিস্টেম বাতিল করা। মসজিদগুলোতে অর্থায়নে নজরদারি বৃদ্ধি করা। বাসায় শিক্ষা দেয়ার রীতিতে বিধিনিষেধ। ইমানুয়েল ম্য খোঁ আরো বলেছেন, অভিবাসী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক গতি আনতে ফ্রান্সকে আরো বেশি কিছু করতে হবে। কারণ, এক্ষেত্রে যে শূন্যতা থাকে তা পূরণ করে উগ্রপন্থিরা। উল্লেখ্য, ধর্মীয় নেতাদের ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তারপরই তিনি এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন। আল-জাজিরা, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।