মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এখানেই শেষ হল না হাথরাস নির্যাতিতার করুণ পরিণতি। সত্কারেও জুটল চরম অপমান, অবহেলা। জানা গিয়েছে গতকাল দিল্লি থেকে জবরদস্তি করে দেহ নিয়ে যায় পুলিশ। মধ্যরাতেই বাড়ির অদূরে ক্ষেতে দাহ করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। সবমিলিয়ে পরিজনহীন শেষকৃত্য দলিত তরুণীর।
এখানেই শেষ নয়। জানা যাচ্ছে, সন্তানহারা পরিবারের ওপরে অকথ্য জুলুম চালানো হয়। দিল্লির হাসপাতালে ধরনাতেও হানা দেয় পুলিস। জবরদস্তি বাবা ভাইকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে। মায়ের আকুতিতেও নেই হেলদোল। বাড়িতে পৌঁছলই না ধর্ষিতার দেহ।
হাথরাস গণধর্ষণে তোলপাড় হয়েছে গোটা ভারত। আর রাতের জুলুমে আগুনে কার্যত ঘি ঢালল যোগী পুলিশ। ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভে ফুঁসছে নাগরিক সমাজ। রাজধানী দিল্লিতে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
টানা ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় দলিত পরিবারের ওই ১৯ বছরের তরুণীর। জানা গিয়েছে এরপরই হাসপাতাল থেকে দেহ হাতে পাওয়া নিয়েও পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডা শুরু হয় মেয়েটির পরিবারের। রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে দেহটি ছেড়ে দেওয়া হলে, তাঁদের কিছু না জানিয়েই পুলিশ দেহটি নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা ও দাদা।
জানা যাচ্ছে, সেখান থেকেই তাঁদের ওপর শুরু হয় জুলুম। এরপর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে হাথরাসের উদ্দেশে রওনা দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বাড়িতে না পাঠিয়েই খেতে নিয়ে গিয়ে জবরদস্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেহ।
হাথরাসের তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে ফুঁসছে দেশ। পাশবিক নির্যাতনের পর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ওই তরুণীকে প্রথমে আলিগড়ের জেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে দিল্লির এইমসে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পুলিশ এইমসের বদলে তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
একটানা দু’সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার হার মানেন ওই তরুণী। আর গোটা ঘটনায় প্রথম থেকেই যোগী পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তা এবং সহায়তা না করার অভিযোগ তুলে আসছে তরুণীর পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।