Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

করোনা থেকে সুস্থদের অধিকাংশই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন : গবেষণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৬ এএম

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লাখে পৌঁছেছে। এটি প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাজার হাজার মানুষ এ রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, যারা ভালো হয়েছেন; তাদের এখন আর ঝুঁকি নেই।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষণায় জানা গেছে, করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের প্রতি ১০ জনে ৯ জন নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন। বিশেষ করে তাদের মাঝে ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ দেখা দিয়েছে। অনেকের স্বাদ ও গন্ধ লোপ পাচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটির প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হয়, যখন বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, যা এ মহামারীর এক ভয়ংকর মাইলফলক। বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করেছে এ ভাইরাস। মানুষের জীবনযাত্রাকে আমূল বদলে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (কেডিসিএ) কর্মকর্তা কোন জুন উক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তিদের ওপর তারা একটি অনলাইন জরিপ চালিয়েছেন। এ গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন কিংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক কিম শিন উ।

এতে দেখা যায়, প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ৯৬৫ জনের মধ্যে ৮৭৯ জনই (৯১.১%) কমপক্ষে একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন। কোন জুন জানান, এদের মধ্যে ২৬.২ ভাগ সুস্থ হওয়া লোকই ক্লান্তি অনুভব করেন। মনোযোগের অভাব দেখা দিয়েছে ২৪.৬ ভাগ রোগীর মধ্যে। অন্যদের স্বাদ ও গন্ধ লোপ পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, অধ্যাপক কিম শিন উ দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ হাজার ৬২২ জন করোনা রোগীর কাছ থেকে মন্তব্য জানতে চেয়েছিলেন। যারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬.৭ ভাগ মানুষ জরিপে অংশ নিয়েছেন। অনলাইনে এ গবেষণাটি পরিচালিত হলেও শীর্ষ গবেষক কিম শিগগিরই বিশদ বিশ্লেষণসহ গবেষণাটি প্রকাশ করবেন বলে জানান কোন জুন।

কেডিসিএ’র ওই কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার ১৬ মেডিকেল সংগঠনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আলাদা একটি গবেষণা চলছে।
ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজে সেন্ট জেমস হসপিটাল অ্যান্ড ট্রিনিটি ট্রান্সন্যাশনাল মেডিসিন ইনস্টিটিউটের গবেষক লিয়াম টাউনসেন্ড বলেন, কোভিডের বর্তমান বৈশিষ্ট্যগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। তবে সংক্রমণের কারণে মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী, তা জানা যায়নি।
সেন্ট জেমস হাসপাতালের ওই গবেষণায় ১২৮ জন অংশ নেন। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার ১০ সপ্তাহ পরও ৫২ শতাংশ রোগীর মধ্যে ক্লান্তির উপসর্গ দেখা গেছে। গবেষকেরা বলছেন, রোগীদের ওপর করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

এ মাসের শেষে ‘ইউরোপীয় সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ কনফারেন্স অন করোনাভাইরাস ডিজিজ’-এ এই গবেষণা উপস্থাপন করা হবে। তবে এ পর্যন্ত করা গবেষণায় এটা স্পষ্ট যে রোগী সুস্থ হওয়ার পরও দীর্ঘ মেয়াদে এই ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব থাকতে পারে।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিখাইল হেড বলেন, ‘করোনার দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে সাধারণ উপসর্গ হলো ক্লান্তি।’ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা ভাইরাস

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ