মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে একদিকে তালেবানের তাণ্ডব অন্যদিকে আইএস জঙ্গিদের হুমকি- এই দুইয়ের মাঝে পড়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সরকার ব্যর্থ হওয়ায় ও ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ নিতে জন্মভূমি ত্যাগ করছে তারা।
দেশত্যাগের ফলে আফগানিস্তানে গত কয়েক বছরে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা আড়াই লাখ থেকে কমে বর্তমানে ৭০০জনের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিখ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার মানুষরা আমাদের ওপর অত্যাচার করে আসছে। কিছুদিন ধরে তা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে রাস্তায় বের হলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সরকারকে সবকিছু জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘বাধ্য হয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন সবাই। গত মার্চে আমাদের একটি গুরুদ্বারে হামলা চালায় আইএস জঙ্গিরা। এর ফলে আমার বোন, ভাতিজা ও জামাই-সহ সাত জন আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আমাদেরও খুব তাড়াতাড়ি এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
বিদেশে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের এক নেতা চরণ সিং খালসা বলেন, ‘গত তিন বছর আফগানিস্তানের সমস্ত নাগরিককে খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিল শিখ ও হিন্দুদের অবস্থা। এর ফলে বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘দু’বছর আগে কাবুলে আমার ভাইকে অপহরণের পর গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এরপরই পুরো পরিবারসহ আফগানিস্তান ছেড়ে আসতে বাধ্য হই। ছোট্ট একটি সম্প্রদায়ের উপর এই ধরনের অত্যাচার কোনোদিন মেনে নেওয়া যায় না।’
এদিকে, ২০১৯ সালের নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কম পানিঘোলা হয়নি ভারতেও। তবে বিরোধ সত্ত্বেও সেখানে এই আইন জারি করা হয়েছে। নিয়ামানুসারে এবার থেকে ১১ বছর নয়, আফগানিস্তান থেকে শিখ এবং হিন্দুরা ভারতে ৫ বছর টানা থাকলেই তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। যদিও এই আইনের উপর এখনও কাজ করে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তাই যেমন বলা তেমন কাজ কতটা ফলপ্রসু হবে সে বিষয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।