মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করেছে ভারত ও ইজরায়েল। দু’দেশের প্রতিরক্ষা সচিব এবং সমরাস্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা ওই গোষ্ঠীতে রয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম অন্য দেশে বিক্রিও ওই গোষ্ঠীর অন্যতম লক্ষ্য।
কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে পাকিস্তান এবং চীনা বাহিনীর মোকাবেলা করতে ভারত যেসব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে তার বেশিরভাগই ইসরাইলি। আর এ কারণেই ইসরাইলের প্রতি আস্থা ও নির্ভরতা দুই বেড়েছে ভারতের। তাই এবার ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধাস্ত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
বালাকোটে স্যাটেলাইট গাইডেড ইলেকট্রো-অপটিক্যাল সেন্সরযুক্ত স্পাইস বোমা কিংবা লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চীনা বিমানবাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করতে ‘হেরন’ ড্রোন ও ‘ফ্যালকন’ এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (অ্যাওয়াক্স)- এসবই ইসরাইলি সমরাস্ত্র।
ভারতে অস্ত্র ও সমর সরঞ্জাম রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ইসরাইলের স্থান চতুর্থ। রাশিয়া, আমেরিকা ও ফ্রান্সের পরেই। গত বছর ইসরাইল থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা ও গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) সঙ্গে ইতিমধ্যে একাধিক যৌথ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
ডিআরডিও ও ইসরাইলি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে ভূমি থেকে আকাশ ‘বারাক’ ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সংস্করণ উৎপাদনের কাজ চলছে। এ ক্ষেপণাস্ত্র পেতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৬ হাজার ৮৩০ কোটি, বিমানবাহিনী ১০ হাজার ৭৬ কোটি এবং নৌবাহিনী ২ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
কয়েক বছর আগে প্রায় ৮ হাজার ১০৭ কোটি টাকা দিয়ে ইসরাইল থেকে তিনটি ‘ফ্যালকন’ কিনেছিল ভারত। গত বছর পাকিস্তানের বালাকোটে হামলাকারী ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে পরিচালনা করেছিল ইসরাইলি অ্যাওয়াক্স।
হেরন ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষেপাণাস্ত্রের নিশানা নির্ভুল করার লক্ষ্যে ইজরায়েলের প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি গবেষণা কর্মসূচি শুরু করেছে ডিআরডিও। এর পোশাকি নাম ‘প্রজেক্ট চিতা’। ‘অ্যারোস্ট্যাট’ এবং ‘গ্রিন পাইন’ রাডারের কার্যকরিতায় খুশি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ইজরায়েলের থেকে ৬৬টি অত্যাধুনিক ‘এয়ার ডিফেন্স অ্যান্ড ফায়ার কন্ট্রোল রাডার’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আনুমানিক খরচ ৪,৫৭৭ কোটি টাকা।
কয়েক বছর আগে প্রায় ৮,১০৭ কোটি টাকা দিয়ে ইজরায়েল থেকে তিনটি ‘ফ্যালকন’ কিনেছিল ভারত। রাশিয়ার তৈরি সামরিক পরিবহণ বিমানে আইএল-৭৬-এ বসানো এই ইজরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার কাজ হল, ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলিকে নিখুঁতভাবে ‘লক্ষ্য’ চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীর তৎপরতার উপর নজরদারির কাজও করতে পারে। গত বছর পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে হামলাকারী ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে পরিচালনা করেছিল এই ইজরায়েলি অ্যাওয়াক্স।
৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ফ্যালকন’ ৩৬০ ডিগ্রি ক্ষেত্র জুড়ে নজরদারিতে সক্ষম। কিন্তু ভারতে তৈরি অ্যাওয়াকস ‘নেত্র’র ‘নজরদারির পরিধি’ ২৪০ ডিগ্রি। চলতি মাসেই প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফ্যালকনের আরও দু’টি উন্নততর সংস্করণ ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিএস)। যৌথ উদ্যোগে অ্যাওয়াক্স নির্মাণ কর্মসূচি নিয়েও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।